শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে কেনা ২টি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন দাবি করা হয়েছে, ক্ষমতায় আসার পর গত ১১ বছরে তৃণমূলের তহবিল বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১৯ কোটি টাকা।
গণশক্তিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের ৯ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের তহবিলের হিসাব পেশ করেছিল তৃণমূল। তাতে সই ছিল দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ মুকুল রায়ের। সেই হিসাব অনুসারে তৃণমূলের তহবিলের তখন ওপেনিং ব্যালান্স ছিল ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। তার পর কেটে গিয়েছে ১০ বছর ৯ মাস। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে তৃণমূলের তরফে তৃণমূলের তহবিলের হিসাব পেশ করেছেন কোষাধ্যক্ষ অরূপ বিশ্বাস। তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের ওপেনিং ব্যালান্স দেখানো হয়েছে ৪২১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত ১১ বছরে তৃণমূলের তহবিল বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪১৯ কোটি টাকা। যা ২০১১ সালের তুলনায় ১৭৪ গুণ।
শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নিলেন গৃহবধূ, দুর্গাপুজোর আগে তীব্র চাঞ্চল্য ময়নায়
বিরোধীদের দাবি, এই হিসাব আসলে নির্বাচন কমিশনের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আসল টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। বামেদের অভিযোগ, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সারদা-সহ অন্যান্য চিটফান্ডের থেকে কয়েক শ কোটি টাকা নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঠিকাদারদের থেকে তোলা কাটমানিও জমা পড়েছে তৃণমূলের তহবিলে। সে সব বাদ দিলেও তহবিল বৃদ্ধির দিক থেকে তৃণমূলের উত্থান চমকে দেওয়ার মতো।