রাজ্যে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণে দফায় দফায় অশান্তির অভিযোগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। শনিবার ভাঙড়ে বোমাবাজির ছবি পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, যেখানেই মুসলিমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে যাচ্ছেন সেখানেই অশান্তি করছে তৃণমূল। অমিত মালব্যের অভিযোগ খণ্ডন করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন - মালদায় ফের বীভৎস নারী নির্যাতন, মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরে অভিযুক্ত TMC নেতা
পড়তে থাকুন - উত্তরবঙ্গে আরও এগল মৌসুমী বায়ু, দক্ষিণবঙ্গের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বর্ষা
শনিবার সকালে ভাঙড়ে বোমাবাজির ভিডিয়ো পোস্ট করে অমিত মালব্য লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র দাউ দাউ করে জ্বলছে। যাদবপুর বিধানসভা এলাকার জয়নগরে বোম পড়েছে। কুলতলিতে তৃণমূলের গুন্ডারা তাদের ভোট দিনে না দেওয়ায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ভোটযন্ত্র ও ভিভিপ্যাট পুকুরে ফেলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সব থেকে খারাপ অবস্থা ডায়মন্ড হারবারের। যেখানকার প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। সেখানে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের ভোটের নথি কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কসাইয়ের ভূমিকা পালন করছে। এমনকী মুসলিমরাও পার পাচ্ছেন না। কারণ মুসলিমদের একটা বড় অংশ সিপিএম প্রার্থী প্রতীকুর রহমানকে ভোট দিচ্ছেন। মুসলিমরা তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিতে শুরু করলেই তৃণমূলের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটে।
জবাবে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভাঙড়ে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে সকাল ৬টা নাগাদ। তখনও ভোটগ্রহণ শুরু হতে ঢের দেরি। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তৎপর হয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। ভাঙড়ে অবাধে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
আরও পড়ুন - স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তৈরি হচ্ছে জলের পাউচ, পরিবহন হচ্ছে আবর্জনা ফেলার গাড়িতে
শনিবার ভাঙড় থেকে অশান্তির লাগাতার খবর মিলেছে। বিভিন্ন জায়গায় বুথ জ্যাম ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অনেক জায়গায় পাড়ার গলির মুখ দখল করে বসে রয়েছে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। শুধুমাত্র পছন্দের ব্যক্তিদেরই ভোটকেন্দ্রের দিকে যেতে দিচ্ছে তারা।