করোনা মহামারীদের বিরুদ্ধে লড়াইতে মানুষকে বাঁচাতে যা যা করার করব।এই কথাই বলেছিলেন কলকাতা পুরনিগমের পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।সম্প্রতি ফিরহাদের মেয়ে সাবা হাকিমের করা টুইটে বাবার সেই কথাই উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ফিরহাদ হাকিমই যে প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এসেছিলেন, আবেগঘন পোস্টে সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন ফিরহাদের ছোট মেয়ে।
কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এখন নারদ মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।চিকিৎসকরা তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কথা বললেও তিনি রাজি হননি।বাবাকে প্রেসিডেন্সি জেলে দেখতে বার বার ছুটে গিয়েছেন দুই মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ও সাবা হাকিম। প্রিয়দর্শিনী তাঁর ফেসবুকে পোস্টে তৃণমূল কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দেন।প্রিয়দর্শিনীর পাশাপাশি এবার তাঁর বাবার কাজের কথা মনে করিয়ে দেন ফিরহাদের মেয়ে পেশায় চিকিৎসক সাবা হাকিম। সাবা তাঁর পোস্টে লেখেন,‘কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মনের মধ্যে সংশয় কাটাতে এগিয়ে এসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।করোনা যুদ্ধে প্রথম ফ্রন্টলাইনার হিসেবে প্রথম ভ্যাকসিনের ডোজ নেন তিনি।’
একইসঙ্গে সাবা এও লেখেন, ‘সেইসময় তখন তাঁকে অনেক নিকটজনরাই ভ্যাকসিন নিতে বারণ করেছিলেন।তখন তাঁর উত্তর ছিল, এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইতে যা যা করার আমি করব। মানুষকে বাঁচাব। সেই লক্ষ্যে বাংলার করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে প্রথম স্বেচ্ছাসেবী হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম।’ জানা গিয়েছে, কলকাতার পুর প্রশাসনকে তখন জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আমায় কলকাতার মানুষের জন্য কাজ করতে দিল না।’