হাইকোর্টের নির্দেশে চলে গিয়েছিল প্রাথমিকের চাকরি, আবার হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই চাকরি ফিরে পেলেন দুই শিক্ষক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই দুই শিক্ষকের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়া পুনরায় চালু করারও নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই শিক্ষকের নাম তরুণ কারক এবং প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য। মামলার বয়ান অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন নথি প্রমাণ খতিয়ে দেখে প্রাথমিকের ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এরপরে হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন জানিয়েছিলেন ১৪৬ জন। কিন্তু, তার মধ্যে ১৪৩ জনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। বুধবার বাকি তিনজনের মধ্যে দুজনকে চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট এবং ১ জনের মামলা এখনও চলছে। নথিপত্র খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।
এই সমস্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছিল, একটি ভুল প্রশ্নের জন্য তাদের ১ নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে দুর্নীতির গন্ধ পায় কলকাতা হাইকোর্ট। টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল করেছিল আদালত। বুধবার শিক্ষিকরা যুক্তিতে জানান, প্রাথমিকে ভুল প্রশ্ন নিয়ে আগে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশেই তাঁরা ৬ নম্বর পেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যুক্তিপূর্ণ মনে হয় আদালতের। এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেন। সেই সঙ্গে বেতনও চালু করতে বলেছেন। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেলেন দুই প্রার্থী।