আজ মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। এই বৈঠকের মূল ফোকাসে এখন দু’জন। এক, কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দুই, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে দু’জনকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীবের সাক্ষাৎ, রাজ্য নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে জোড়া চিঠি—দলবদলের জল্পনার মধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি অনেক কিছু প্রকাশ্যে এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে দলে যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলাই এই বৈঠকের লক্ষ্য। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, অমিত মালব্য, শিবপ্রকাশরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কৈলাস বিজয়বর্গীয় কী উপস্থিত থাকবেন? এখনও তিনি থাকবেন কিনা সে বিষয়ে নিজে কিছু জানাননি। এখানেও দেখার বিষয় কৈলাস কোন পথে হাঁটে!
অন্যদিকে বিজেপি চায় না তাঁদের সামনে দলের মতানৈক্য প্রকট হোক, উঠে আসুক অনভিপ্রেত পরিস্থিতি। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘এই বৈঠক ঘর গোছানোর বৈঠক, কোন্দল করার নয়।’ রাজীব তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে আগ্রহী। কিন্তু মুকুল রায়ের ঘর ওয়াপসির দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, যাঁরা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাত শক্ত করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের আর তৃণমূল কংগ্রেসে কোনও স্থান নেই! ঠিক এই জায়গাতেই আটকে গিয়েছেন রাজীব। এখন দেখার কি করেন তিনি। বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসুকে। তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। আর রাজীব বৈঠকে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।