কেটেছে উৎকন্ঠা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে৷ এখন যা পরিস্থিতি তাতে নিয়ম মেনে ওষুধ চললেই কাজ হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুধবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে৷ তবে পরবর্তী একসপ্তাহ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে হবে৷ এই তথ্য মিলেছে। আবার বাড়িতে চিকিৎসা নিয়মিত চলবে। এই চিকিৎসা অবশ্য বেশিরভাগটাই পর্যবেক্ষণ বলে চিকিৎসকদের সূত্রে খবর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাশি কমেছে। অক্সিজেনের মাত্রাও এখন অনেকটা স্বাভাবিক। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখনও ইন্টারমিটেন্ট বাইপ্যাপ সাপোর্টে আছেন৷ মঙ্গলবার মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। ফলে কমেছে কৃত্রিম অক্সিজেনের চাহিদা। এমনকী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁর রক্তচাপ৷ হৃদস্পন্দনের গতি প্রতি মিনিটে ৬৪৷ এখন তিনি স্বাভাবিকভাবেই খাবার খেতে পারছেন৷ তাঁর রেমডেসিভিরের কোর্স শেষ হয়েছে। তবে স্টেরয়েড এখনও চলছে৷
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীও কোভিড পজিটিভ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। গত মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যায়। উদ্বেগ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। ভর্তি করা হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডার অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাঁর জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয় এবং থাকেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাউজ ফিজিশিয়ান সোমনাথ মাইতিও।