আজ, মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজত শেষ হচ্ছে মানিক ভট্টাচার্যের। তাই আজ আবার মানিক ভট্টাচার্যকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে। টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গত ১১ অক্টোবর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন দেখতে পেয়েছেন অফিসাররা। এমনকী সেইসব অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলেও নথি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। মানিককে জেরায় মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই তদন্তের অগ্রগতির জন্য মানিকের জামিনের বিরোধিতা করবে ইডি।
ঠিক কী ঘটছে আজ? আজ ১৪ দিন ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে মানিক ভট্টাচার্যকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে ফের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে। গত রবিবার জেরা করা হয় মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। এমনকী তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তাপসের তিনটি বিএড কলেজের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল সুপ্রিম কোর্টে? গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এখনই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না তদন্তকারী সংস্থা। তবে তদন্ত চালিয়েছে যেতে পারবে তারা। আর বৃহস্পতিবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন মামলায় রায়দান করেন। সেখানে ইডির গ্রেফতারকে সঠিক বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
কেন মানিকের জামিনের বিরোধিতায় ইডি? ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিকের সংস্থার তাপসের সংস্থার একটি চুক্তি হয়েছিল। যদিও অভিযোগ ওঠে, ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হলেও কোনও পরিষেবাই দেওয়া হয়নি। এখন এই চুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়টি নিয়েই তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। তাপসের সঙ্গে মানিকের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তাই সেগুলি আদালতে তুলে ধরে জামিনের বিরোধিতা করা হবে।