আজ, বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য–সহ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মোট ১৪ জনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আবার চলছে শুনানি। এই পরিস্থিতিতে আদালতে ঢোকার সময় পার্থ কিছু বললেন না। সম্পূর্ণ নীরবই রইলেন। তবে আজকে আর তাঁকে কেউ ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান দেয়নি। বরং তাঁকে দেখে জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছেন মানুষজন। যদিও আগের মতোই নীরব অবস্থানই পালন করেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছে আদালতের পথে? আজ, বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতের পথে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর কয়েকজন অনুগামী স্লোগান দেয়। ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই স্লোগান শুনেও আদালতকক্ষে নীরবে ঢুকে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আগে জেলের বাইরে এবং জেলের ভিতরে পার্থকে ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল বহুবার। বৃহস্পতিবার তেমন কিছু না ঘটায় তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলেন তিনি। বরং বাড়তি পাওনা ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান।
আর কী জানা যাচ্ছে? গতবছর গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখন আট মাস তিনি জেলে আছেন। এই সময়কালে তাঁকে চোর, চাকরি চোর কথাটি শুনতে হয়েছে। আবার জেলের ভিতরে মোটকা দা টুকি, ওই দেখ চাকরি চোর—এসব হজম করতে হয়েছে। একবার তিনি বলেছিলেন, ‘আমার আশা, সত্যের জয় হবে। আইনের উপর আমার আস্থা আছে।’ সম্প্রতি বলেছেন, ‘যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯–১০ সালের সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন। কারণ, আমি তাঁদের বলেছিলাম করতে পারব না! আমি নিয়োগকর্তা নই। শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১–১২ সালটা দেখুন না! ডিপিএসসি কী করেছিলেন।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে পার্থ, সুবীরেশদের আলিপুরের জেলা দেওয়ানি ও দায়রা আদালতে নিয়ে আসা হয়। এদিন নিয়ে আসা হয়েছিল অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, চন্দন মণ্ডল, প্রদীপ সিং, প্রসন্ন রায়। ২৩ মার্চ শুনানিতে বিচারক পার্থের সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই ফের আদালতে তোলা হল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup