ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে দুর্ভোগের শেষ ছিল না সাধারণ মানুষের। টিকা কেন্দ্রের সামনে রাতজেগে অপেক্ষা করেও অনেকেই টিকা পাচ্ছিলেন না। দিনের পর দিন টিকা কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ আইন পড়ছিল। তার উপর গিজগিজে ভিড়ের ঠেলায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হচ্ছিল গ্রহীতাদের।
এবারে টিকাপ্রাপকদের এই চরম হয়রানি দূর করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। আর টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না আম জনতাকে। হাতে পুরসভার টোকেন থাকলেই মিলবে ভ্যাকসিন। এবার থেকে টোকেন পরিষেবার মাধ্যমে টিকা নিতে পাবেন প্রাপকরা। সোমবার থেকে শহরে কার্যকর হতে চলেছে ভ্যাকসিনের জন্য এই টোকেন পরিষেবা। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘ টিকার লাইনে দাঁড়িয়েও মানুষ টিকা পাচ্ছিলেন না। সেকারণে তাঁদের এই হয়রানি দূর করতে এই টোকেন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। পুরসভার সমস্ত টিকা সেন্টারগুলো থেকে ভ্যাকসিন প্রাপকদের এই টোকেন দেওয়া হবে। সোমবার থেকে এই পরিষেবা কার্যকর হয়ে যাবে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৪৪ বছরের টিকা প্রাপকদের জন্য আপাতত এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। এছাড়াও ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের লাইন এখন কিছুটা কম হচ্ছে। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্যেও এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে।
ওদিকে কলকাতায় কোভ্যাকসিনের টিকাকরণ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে অভিযোগের সুরে ফিরহাদ বলেন, ‘ কেন্দ্রের তরফে এই ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত ডোজ পাঠানো হচ্ছে না। সেকারণে এ রাজ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
অসংখ্য মানুষ কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এখন তাঁরা দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘ যদি কেন্দ্র আজ রাতের মধ্যে ভ্যাকসিন পাঠায়, তবেই আগামী সোমবার থেকে আবারও কোভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে কেন্দ্র কাছে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড মিলিয়ে মোট ৭৩ লক্ষ ডোজ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ২৩ লক্ষ টিকা পেয়েছে রাজ্য।
টিকার জোগানে ভাটা পড়ায়, কোভ্যাকসিনের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে, প্রকল্প হোঁচট খেয়েছে। এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার কাছে ওই টিকা প্রায় শেষ। সেকারণে শুক্রবার থেকে কোভ্যাকসিনের টিকাকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।