শহরের বিভিন্ন এলাকা একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঠে নেমে ২১শের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন। সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। কোথাও কোনও কর্মীর সমস্যা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন তিনি। এর মাঝেই চায়ের কাপে গলা ভিজয়ে নিলেন। তবে কাল যে অবরূদ্ধ হবে শহর কলকাতা এটা ভালোই আঁচ করতে পারছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। একাধিক স্কুলও ইতিমধ্যে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
২১শে জুলাইয়ের ভোগান্তির সম্ভাবনা নিয়ে শহরবাসীর কাছে আগাম ক্ষমা চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন ঘটনাটা যেহেতু ধর্মতলায় হয়েছিল তাই এখানেই সভাটা করতে হয়। ৩০ বছর ধরে এটা হয়ে আসছে। কালকের দিনটা শহরবাসীর একটু অসুবিধা হবে। একটু ভিড় হবে, যানজট হবে। তাই আগে থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আগাম জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী।
সেক্ষেত্রে কাল রাস্তায় বেরিয়ে শহরবাসীর যে ভয়াবহ ভোগান্তি হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। তবে নেত্রী জানিয়েছেন, ২১শের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে। সব মিলিয়ে এবার ২১শের মঞ্চ থেকে নেত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঠিক কী আওয়াজ তোলেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীরা যাতে নিরাপদে আসতে ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সেব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য় আবেদন জানিয়েছেন নেত্রী।