জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ বিজেপিরই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। এই আবহে বাংলা ছেড়ে পড়শি রাজ্যে গিয়েছেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। এদিকে পঞ্চায়েতের দায়িত্বভার কাদের হাতে তুলে দেওয় হবে, তা নিয়ে অঙ্ক কষছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ভোটের প্রচারে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা খরচ করা হয়ে থাকতে পারে দাবি করেছে ইডি। সকালের পাঁচটি সেরা খবরে চোখ বুলিয়ে নিন একবার।
তৃণমূলে যোগ দিতে প্রার্থীদের চাপ বিজেপি জেলা সভাপতিরই!
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বহু জায়গায় বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস থেকে জয়ী প্রার্থীরা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আবার উত্তরবঙ্গে বিজেপির তরফে জয়ী প্রার্থীদের বাসে করে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি উঠেছিল। তবে এবার পূর্ব মেদিনীপুরে উঠল অদ্ভূত অভিযোগ। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ জগদীশ প্রামাণিক নাকি বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছেন। এই অভিযোগে বিজেপির অন্তত ২২ জন জয়ী প্রার্থী ইতিমধ্যেই ওড়িশায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভোট প্রচারে খরচ দুর্নীতির টাকা, দাবি ইডির
এবার বাংলার দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড় আসতে পারে। শিক্ষা ও পুরসভায় চাকরির ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগে জেরবার শাসকদল। এই আবহে বহু বড় থেকে মাঝারি মাপের নেতা জেলে। সেই দুর্নীতি তদন্তে এবার ইডির দাবি, চাকরি দেওয়ার নামে বাজার থেকে তোলা টাকা খরচ হয়েছে রাজনৈতির কার্যকলাপেও। জানা গিয়েছে, ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে, যা থেকে প্রমাণ হয় যে ঘুষের টাকা খরচ হয়েছে রাজনৈতিক প্রচারে। ইডির দাবি, ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিশাদনসভা নির্বাচন এবং পরে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে খরচ হয়েছে কুন্তলের তোলা টাকা।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ওপর নজর নজর অভিষেকের
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিটি জেলায় সিংহভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। প্রতিটি জেলা পরিষদই দখল করেছে তৃণমূল। এই আবহে এবার বোর্ড গঠনের পালা। এর জেরে বিভিন্ন স্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়ার ওপর নিজে নজর রাখছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি বেসরকারি সংস্থাও এই প্রক্রিয়ার অংশ বলে জানা গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষ বাছাই করার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের পরামর্শের পাশাপাশি, সেই বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টের ওপরও নজর রাখবেন অভিষেক।
৩৫৫ জারি হোক রাজ্যে, দাবি বঙ্গ বিজেপির
পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা লাগু করার দাবিতে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই তিনি এই নিয়ে সরব। এদিকে পঞ্চায়েত হিংসার ইস্যু খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসা রবিশংকর প্রসাদও শুভেন্দুর দাবিকে 'ন্যায্য' বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই আবহে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সভাতেও উঠল ৩৫৫ জারির আর্জি। জানা গিয়েছে, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর এই নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে চায় বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এরপর যাতে এই দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা ৩৫৫ ধারার দাবিটা কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে তুলে ধরেন। এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই বৈঠকে অবশ্য শাহের তরফে ৩৫৫ ধারা নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট ধারণা মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশি বাধার মুখে সওকত-আরাবুল
ভাঙড়ে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের পর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই গতকাল নওশাদ সিদ্দিকিকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের আরাবুল ইসলাম এবং সওকত মোল্লা সেখানে যেতে চাইলে তাঁদেরও আটকে দেয় পুলিশ। তাঁরা নিহত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর ভাঙড়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় আরাবুল–সওকতকে এগোতে দেয়নি পুলিশ। এদিকে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করতে শুরু করেন আরাবুল, সওকত ও তৃণমূল কর্মীরা।