বাসের ভাড়া সরকারিভাবে বৃদ্ধির কোনও খবর নেই। কিন্তু তবুও বাসে উঠলেই ১০টাকা। এটাই যেন অলিখিত নিয়ম। এনিয়ে দিয়েও দিচ্ছেন যাত্রীরা। প্রতিবাদ মাঝেমধ্য়ে হয়। তবে সেসব বিশেষ ধোপে টেকে না। বাসের কন্ডাক্টররা বলছেন, আসলে তেলের দাম বেড়েছে বলে ভাড়া কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু খাতায় কলমে বাড়ল কই? এই অনিয়মের প্রশ্ন তুলেই এবার জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। আর সেই মামলাতেই পরিবহণ দফতরকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছিল। অতিরিক্ত ভাড়া যাতে না নেওয়া হয় সেব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছিল। এদিকে দফতরের তরফে হলফনামায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভাড়া যাতে না নেওয়া হয় সেব্যাপারে নিশ্চিত করা হবে।
আসলে বেসরকারি বাসের ভাড়া আদপে কত তা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যেও চূড়ান্ত বিভ্রান্তি রয়েছে। যাত্রীদের অনেকেই বাসে উঠেই ১০ টাকা বের করে দেন। কোথাও আবার এটাই ১২টাকা। আর কিছুটা দূরত্ব বাড়লেই ভাড়া বেড়ে ১৪টাকা। কিন্তু বাস্তবে ভাড়া কত?
সূত্রের খবর,গত বছরের শেষের দিকে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে জোরালো সওয়াল করেছিলেন বাস মালিকরা। তারা এনিয়ে তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল যেভাবে পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়়ছে তাতে ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয়। কিন্তু সেই সময়ও সরকারি তরফে ভাড়া বাড়েনি। ফের পরিববণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাস মালিকরা। কিন্তু তখনও ভাড়া বাড়াতে চাননি মন্ত্রী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভাড়া তবে বাড়লি কীভাবে?
এনিয়ে রোজই বাসে উঠে তর্কও হয় যাত্রী ও কন্ডাক্টরের মধ্যে। কোথাও আবার পুরোটাই গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, বাড়ানো হবে না বাসের ভাড়া। ৪ বছর আগের বেঁধে দেওয়া ভাড়াই নেওয়া হবে যাত্রীদের কাছ থেকে। আদালতের হলফনামা দিয়ে জানানো হল সরকারের তরফে।
যাত্রীদের একাংশের দাবি, বেআইনীভাবে বেসরকারি বাসে ভাড়া নেওয়া হয়। নিয়ম মানা হয় না। বেসরকারি বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া আসলে ৭ টাকা। মিনি বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮টাকা। সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে গাইড লাইন না মেনে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ১০টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে তা বেআইনী। যদি কেউ এনিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ করেন তবে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। এনিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হচ্ছে।