কলকাতার পথে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে মানুষজনকে দেখেছিলেন তিনি। তাই নবান্নে ফিরে গিয়ে পরিবহণ মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। সাইলেন্ট ডিপার্টমেন্ট হয়ে গিয়েছে পরিবহণ দফতর বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে কলকাতার রাজপথে বেসরকারি বাসের পাশাপাশি সরকারি বাসের পরিষেবা বেড়ে গিয়েছিল। লেডিস স্পেশাল বাস চালু করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, একাধিক রুটে বাসের সংখ্যা এবং ট্রিপ বাড়ানো হয়। তবে সব জায়গায় সরকারি বাস চালানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে যেখানে ভাল সেসরকারি বাস পরিষেবা রয়েছে সেখানে সরকারি বাস পরিষেবা নয় বলে আজ, বৃহস্পতিবার জানালেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
দুর্গাপুজো, বইমেলা, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা উপলক্ষ্যে সরকারি বাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল শহরে। আর আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একাধিক বিধায়ক নানা জেলায় বেশ কয়েকটি রুটে সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি এই বাস পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন করেন। যার উত্তরে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় সরকারি বাস পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভাল বেসরকারি বাস পরিষেবা রয়েছে সেখানে অযথা বাসের সংখ্যা বাড়ানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।’ আজ বিজেপি বিধায়ক ভগবানপুর থেকে খড়গপুর পর্যন্ত সরকারি বাস চালুর আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধে জেতার রণকৌশল করেই ময়দানে নেমেছি’, শুভেন্দুকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ তাপসীর
এদিকে শহরের রাস্তায় টোটো চলতে শুরু করার জেরে যানজট তৈরি হচ্ছে বলে বেশ কয়েকজন বিধায়ক অভিযোগ তোলেন। ইতিমধ্যেই একাধিক পুরসভা এলাকায় টোটো চলার জন্য কিউআর কোড সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই বিষয়ে আজ পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, হাওড়া, চুঁচুড়া, বর্ধমান, বারাসত, শিলিগুড়ি, আসানসোলে স্টেশন চত্বর এবং বাজার এলাকায় খুব যানজট হচ্ছে। টোটো কিনে যে কোনও রুটে যে কেউ চালাতে পারে। কারণ এটার নির্দিষ্ট পারমিট হয় না। তাই টোটোর জন্য কিউ আর কোড রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ, পুরসভার অফিসার, টোটো ইউনিয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবে।
অন্যদিকে কলকাতা এবং জেলায় যথেষ্ট বাস পরিষেবা করা হয়েছে। বেসরকারি বাস এবং সরকারি বাস পরিষেবা রয়েছে। এই বিষয়ে আজ পরিবহণ মন্ত্রী বিধানসভায় জানান, সেবক রোড বা হিলকার্ট রোডে টোটো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের সামনে বেসরকারি ৩০০ বাস চলাচল করছে। এই বাসগুলি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। পরিবহণ নগরের ট্রাক টার্মিনাসে এই বাসগুলিকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তখন অবশ্য ট্রাক টার্মিনাসকে ঘোষপুকুরে স্থানান্তর করতে হবে।