স্বরাষ্ট্র সচিবের তৎপরতায় ১১টি বড় গাছ প্রতিস্থাপন বন্ধ হল। এই গাছগুলি কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকারের যুক্তি একসঙ্গে এতগুলি গাছ এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্যত্র প্রতিস্থাপন করা হলে সেক্ষেত্রে পরিবেশে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাঁর এই যুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরাও। অবশেষে সেই গাছগুলির প্রতিস্থাপন বন্ধ রাখা হয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পন্ডিতিয়া রোডে অবস্থিত ওই গাছগুলি প্রতিস্থাপনের কথা ছিল। যেখান থেকে গাছ তোলার কথা ছিল তার পাশেই একটি আবাসনে থাকেন স্বরাষ্ট্র সচিব। এই গাছগুলির মধ্যে রয়েছে বট, অশ্বত্থ, বকুল, কদম, দেবদারু ও খিরিশ গাছ। গাছগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য বনদফতরের কাছে আগেই অনুমতি পেয়েছিল পুরসভা। বিষয়টি জানতে পেরে স্বরাষ্ট্রসচিব সরাসরি কলকাতার পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারকে ফোন করে এ বিষয়ে আপত্তি জানান। এরপরে গাছ প্রতিস্থাপন বন্ধ রাখা হয়।
পরিবেশ প্রেমীদের অভিযোগ, এর আগেও একই জায়গা থেকে একাধিক গাছ অন্যত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আমফানে এমনিতেই অনেক গাছ ভেঙে গিয়ে। তার উপর একসঙ্গে একই এলাকা থেকে এত গাছ সরিয়ে নিলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, ‘ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রসরোবরে ৫৫ টি বড় গাছ প্রতিস্থাপন করেছি। পণ্ডিতিয়া রোড আরও চওড়া করার জন্য গাছগুলি সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মতো বনদফতরের কাছ থেকে অনুমতিও পাওয়া গিয়েছিল।’
পশ্চিমবঙ্গ জীব-বৈচিত্র পর্ষদের রিসার্চ অফিসার অনির্বাণ রায়ের কথায়, ‘একটি বড় গাছকে প্রতিস্থাপন করা হলেও একসঙ্গে এতগুলি গাছ সরানো হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।’ পরিবেশবিদদের বক্তব্য, ‘একটি বড় গাছকে প্রতিস্থাপন করলেও কখনও আগের অবস্থায় ফেরানো যায় না। এই অবস্থায় তারা স্বরাষ্ট্রসচিবের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।'