রাজ্যে আবারও ভোট-পরবর্তী হিংসার শিকার হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। নানুরে হিংসার বলি হলেন এক তৃণমূল কর্মী। গুরুতর আহত হয়ে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নানুরের আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মী শ্যামল দাস। বুধবার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূমের নানুর।
জানা গিয়েছে, গত ৩ মে ভোটের ফল ঘোষণার পরদিন নানুরের রানিবাঁধ গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তৃণমূলের দুই কর্মী। আহত দু’জনের মধ্যে শ্যামল দাসের মাথায় আঘাত লাগে। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
ঘটনার পরে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বীরভূমের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তারপর সেখান থেকে স্থানান্তর করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়েছিল শ্যামলবাবুকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায়, কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। এদিন সকালে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝির অভিযোগ, ভোটে হেরে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছিল বিজেপি কর্মীরা। যদিও তৃণমূলের করা সমস্ত অভিযোগ নাকচ করেছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করে নানুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার পাল্টা দাবি, ভোটের পর রানিবাঁধ গ্রামে লুঠপাট চালানোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। তাদের মধ্যেই একজন ছিলেন শ্যামল। সেই সময় গ্রামবাসীরা তাদের বাধা দিতে গেলে, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওই ঘটনায় আহত হন তিনি। ইতিমধ্যেই মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর পরিবার নানুর থানা এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।