রাজ্য বিধানসভার ভিতরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খুন করতে পারে তৃণমূল। বিধানসভার অভ্যন্তরের একটি ঘটনা তুলে ধরে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এর পর ওয়াক আউট করেন তাঁরা। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন - মুসলিম তোষণ করতে হাইকোর্টেরও পরোয়া করেন না মমতা: শংকর ঘোষ
পড়তে থাকুন - শুভেন্দু কি এবার ভবানীপুরে দাঁড়াবেন? কী বলছেন সুকান্ত! 'মমতাকে হারাব'
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিন্দু বিরোধিতার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানাতে কালো জামা পরে বিধানসভায় গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। শংকরবাবু বলেন, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময় আমরা নানা প্রশ্ন করছিলাম। তখন হঠাৎ দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের মতো কালো জামা পরা একজন লোক বিধানসভার ভিতরে ঢুকে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছে। আমরা বিষয়টা স্পিকারের গোচরে আনলেও তিনি ওই ব্যক্তিকে ধরতে তৎপর হননি। আমাদের ধারণা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় ওই ব্যক্তি বিধানসভায় ঢুকেছেন। সম্ভবত বিধানসভার অভ্যন্তরে শুভেন্দু অধিকারীকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেজন্য বিজেপি বিধায়কের বেশে বিধানসভায় ঢুকে ভিডিয়ো রেকর্ড করছিলেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন - ‘বাবা-মা বাংলাদেশি হলেও আমি ভারতীয়!’ দাবি তৃণমূলের ‘আগুনে’ যুবনেতার
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু বিরোধিতার অভিযোগ তুলে শংকরবাবু বলেন, শাসকদলের বিধায়ক হুমায়ুঁ কবির বলেছেন, ৩০ শতাংশ হিন্দুকে কেটে ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব। ফিরহাদ হাকিম দাওয়াতে ইসলামের ডাক দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কী পদক্ষেপ করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্ধ ঘরের মধ্যে যা বলার বলা হয়েছে ফিরহাদকে। আমার প্রশ্ন, ফিরহাদ বক্তব্য রাখবেন প্রকাশ্যে, তাহলে তাঁকে বন্ধ করে তিরস্কার করা হবে কেন? হুমকি প্রকাশ্যে দিলে তিরস্কারও প্রকাশ্যেই করা উচিত। আসলে রাজ্যে জামাত - জেহাদিদের সরকার চলছে।