২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে ঠেকানোর পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর দিল্লির দিকে। এই আবহে নিজে সাংসদ না হয়েও তৃণমূলের সাংসদীয় দলের প্রধান হয়েছেন তিনি নিজে। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দিল্লিতে একাধিকবার পা রেখেছেন মমতা। এই আবহে ২০২২ সালে তৃণমূলের রণকৌশল কী হতে চলেছে? এই সংক্রান্ত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেই দলের সব সাংসদদের নিয়ে বৈঠক ডাকলেন মমতা।
জানা গিয়েছে আগামী ২৭ জানুয়ারি দলের সব সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী। সেদিন কালীঘাটে নিজের বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সব সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন মমতা। এই বৈঠকটি বাজেট অধিবেশেনের ডাকায় একাংশের মত, সংসদে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বৈঠকেই উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ গত কয়েকদিনে যেভাবে অভিষেকের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন, এই আবহে এই বৈঠকের আলাদা তাত্পর্য থাকতে পারে বলেও মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।
উল্লেখ্য, গত শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়ালেও সংসদে ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। কংগ্রেসের ছাতার তলায় থেকে যখন বাকি বিরোধী দলগুলি একযোগে আন্দোলন করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, কংগ্রেসের অধীনে থেকে কেন আন্দোলন করতে হবে বা কর্মসূচি করতে হবে? নিজেদের স্বতন্ত্রতা জাহির করতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কংগ্রেসের থেকে উল্টো পথে হেঁটেছেন ঘাসফুল শিবিরের সাংসদরা। আর এতে বিজেপি বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরেছে। এদিকে সম্প্রতি গোয়া বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমেই আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক। এই আবহে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল দূরত্ব কমায় নাকি কংগ্রেসের ছায়ার বাইরে থাকারই সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল, সেদিকেই নজর সবার।