২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের তাবড় আঞ্চলিক দলগুলি অনুদান পেয়েছিল ইলেক্টোরাল বন্ডেরই মাধ্যমে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড ব্যবস্থা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে পর্যন্ত এই মাধ্যমেই সিংহভাগ অনুদান নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিআরএস, বিজেডির-র মতো দলগুলি। এর মধ্যে তৃণমূলের প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ বাকিদের ছাপিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া অডিট রিপোর্টে এই সব পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দলগুলি। (আরও পড়ুন: উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, টিকটককে ৭৫ দিনের লাইফলাইন দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: 'দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল বাধিয়ে...', বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
আরও পড়ুন: রাখলেন কথা, ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ৬১২.৪ কোটি টাকা পেয়েছিল। এদিকে এই একই সময়কালে বিআরএস পেয়েছিল ৪৯৫.৫ কোটি টাকা। আর বিজেডি পেয়েছিল ২৪৫.৫ কোটি টাকা। টিডিপির পকেটে ঢুকেছিল ১৭৪.১ কোটি টাকা, ওয়াইএসআইর কংগ্রেস পার্টির অ্যাকাউন্টে ঢোকে ১২১.৫ কোটি টাকা। ডিএমকে পায় ৬০ কোটি টাকা এবং জেএমএম পায় ১১.৫ কোটি টাকা। এছাড়া সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের অ্যাকাউন্টে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে এসেছিল ৫.৫ কোটি টাকা। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর জামিন মামলার উঠল না বাংলাদেশ হাইকোর্টে, এরপরে কবে হতে পারে শুনানি?)
আরও পড়ুন: বিচারক মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ঠিক করেছেন,মত একদা আরজি কর মামলায় লড়া আইনজীবী বিকাশের
এদিকে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসে মোট উপার্জনের ৯৫ শতাংশই এসেছিল ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে। এদিকে বিআরএস-এর মোট আয়ের ৭২ শতাংশ আসে ইলেক্টোরাল বন্ডে, বিজেডির মোট অনুদানের ৮২ শতাংশ ইলেক্টোরাল বন্ডের, টিডিপির আয়ের ৬১ শতাংশ ইলেক্টোরাল বন্ডের, ওয়াইএসআরসিপির ৬৪ শতাংশ আয় ইলেক্টোরাল বন্ডে, জেএমএম-র ৭৩ শতাংশ আয় ইলেক্টোরাল বন্ডে। এছাড়া ডিএমকে-র আয়ের মাত্র ৩৩ শতাংশ ইলেক্টোরাল বন্ডে। (আরও পড়ুন: আরজি কর নির্দেশনামায় পুলিশ ও সন্দীপকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ, একাধিক প্রশ্ন বিচারকের)
এদিকে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে অনুদান একলাফে বেড়েছে ৮৮ শতাংশ। এদিকে বিজেডির ক্ষেত্রে তা বেড়েছে ৬১ শতাংশ, ওয়াইএসআরসিপির ক্ষেত্রে তা ১৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে টিডিপির বন্ড আয় বেড়েছিল ৪১২ শতাংশ, জেএমএম-র ক্ষেত্রে তা ৮৫৫ শতাংশ। তবে ডিএমকে-র ইলেক্টোরল বন্ড আয়ের পরিমাণ ৬৭ শতাংস কমে যায়। বিআরএস-এর বন্ড অনুদান কমে গিয়েছিল ৬.৩ শতাংশ। (আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে বাতিল জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার, কবে থেকে কার্যকর অর্ডার?)
অপরদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জাতীয় পার্টিগুলির মধ্যে আম আদমি পার্টির পকেটে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ঢুকেছে ১০.১ কোটি টাকা। যা তাদের মোট আয়ের ৪৪ শতাংশ। আম আদমি পার্টির মোট আয় ছিল ২২.৭ কোটি টাকা। এছাড়া সিপিএম অনুদান পেয়েছিল ১৬.৮ লাখ টাকার। এনপিপি পেয়েছিল ২২.৪ লাখ টাকা এবং বিএপসি পেয়েছিল ৬৪.৮ কোটি টাকা। এদিকে সিপিআই অনুদান বাবদ মোট আয় করেছে ১৯.৫ কোটি টাকা।