১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই ধর্মতলায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। সেই থেকে প্রতিবছর এই দিনটাতে ‘শহিদ’দের স্মরণে তর্পণ করা হয়ে থাকে। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করার পর থেকে জনসভা করতে থাকেন মমতাই। কারণ ১৯৯৩ সালের সেদিন মমতার নেতৃত্বেই যুব কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে এবার বাম সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
১৯৯৩ সালে কার নির্দেশে পুলিশ যুব কংগ্রেস কর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছিল, সেই প্রশ্নের জবাব আজও মেলেনি। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছি ১১ বছর হল। এর আগে মহাকরণ ত্যাগের সময় বামেরা সব নথি লোপাট করে দিয়েছে। এখনও অবশ্য কিছু কিছু নথি আছে। তার ভিত্তিতেই বিচার হবে।
কী হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই? নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবি তুলে রাস্তায় নেমেছিলেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি আদতে হওয়ার কথা ছিল ১৪ জুলাই। তবে তৎকালীন রাজ্যপাল নুরুল হাসানের প্রয়াণের কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই কর্মসূচি। সেই মতো ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ ঘিরে ফেলার জন্য ধর্মতলায় জড়ো হন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্ররাও ছিলেন সেদিনের মিছিলে। মহাকরণে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য পুলিশি ব্যারিকেডে আটকা পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষ বেধে যায় যুব কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের। পুলিশের ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয়। পুলিশও পালটা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এরপর গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেদিন।