রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মানিককে আজই আদালতে পেশ করা হবে। ধৃত মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে এবং তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি। কোন কোন পথে নিয়োগ হয়েছে, কত দূর দুর্নীতির বীজ লুকিয়ে, কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত, কীভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মানিকের কাছে জানতে চেয়েছিল ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যে নথি জমা দিয়েছেন, সেখানে একাধিক গরমিল রয়েছে।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চেয়ারম্যান পদ থেকে মানিককে সরানো হয়েছিল এবং তাঁর–সহ পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা আকারে জমা দিতে বলা হয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিকবাবু। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের যে চারজশিট ইডির তরফে আদালতে পেশ করা হয়, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম ছিল। সূত্রের খবর, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে মানিক ভট্টাচার্যের নাম উঠে এসেছে। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এর আগেও একাধিকবার মানিককে তলব করা হয়। তবে আদালতের রক্ষাকবচ থাকায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করতে পারেনি মানিককে।