শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়া, ত্রিপুরা থেকে মেঘালয়, সব রাজ্যেই কংগ্রেস ভাঙিয়েই নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করছিল তৃণমূল। তবে গোয়ার নির্বাচনী ঘণ্টা বাজতেই ধীরে ধীরে সুর বদল করতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সোনিয়া গান্ধীকে এসএমএস করেন। কংগ্রেসের কাছে জোটের বার্তা যায় তৃণমূলের তরফ থেকে। তবে কংগ্রেস আপাতত তৃণমূলের সঙ্গে যেতে প্রস্তুত নয়। এই পরিস্থিতিতে এবার সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে পা মিলিয়ে সংসদে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হওয়ার পথেই হাঁটতে চলেছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদদের বৈঠকের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংসদে সব বিরোধী দলগুলির সঙ্গে মিলেই ফ্লোর-কোঅর্ডিনেশন করবে তৃণমূল। লোকসভায় দলের নেতা জানান, বাজেট অধিবেশনে যেরকম ইস্যু উত্থাপিত হবে, তা নিয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশনে যাবেন তাঁরা।
এর আগে শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভা সাংসদদের সাসপেনশন ইস্যুতে একসঙ্গে ধরনায় বসলেও তৃণমূল বুঝিয়ে দিয়েছিল যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে আন্দোলন বা কর্মসূচি পালনে বাধ্য নয় তারা। তৃণমূলের এই মনোভাবে বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল তৃণমূলের মনোভাব নিয়েও। তাও কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যাননি তৃণমূল সাংসদরা। পরের দিকে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে তৃণমূলকে বৈঠকে ডাকাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে নয়া বছরে নয়া নীতি নিয়ে সংসদে পা রাখতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। এখন দেখার বিষয়ে কো-অর্ডিনেশনের নামে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব স্বীকার করে নেয় কিনা।