আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিশ্বজোড়া বিক্ষোভের মধ্যে রবিবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করে তৃণমূল তথা রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীর্ঘ ২ পাতার চিঠি লিখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। আর এতেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে শাসকদল। আর জহরবাবুর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া এল তৃণমূলের তরফে। নাম না করে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখলেন, ‘যুদ্ধের সময় যারা পালায় কিংবা গা বাঁচিয়ে চলে, ইতিহাস তাদের লজ্জার নজরে দেখে। ’
আরও পড়ুন - 'নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন, নইলে পুলিশকর্মীদের নিম গাছে বেঁধে রাখব'
পড়তে থাকুন - অবহেলায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ভুয়ো, অভিষেকের পোস্টের জবাব দিলেন আরজি করের সুপার
রাজ্যসভার সাংসদ পদে তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন বলে জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন জহরবাবু। সেখানে তিনি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় দলের একাংশের দ্বারা হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী দলের নিচুতলার নেতা - কর্মীদের জীবনযাপনের বাহুল্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এমনকী আরজি কর কাণ্ডের পর সরকারের বক্তব্য জনগণ আর বিশ্বাস করছে না বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।
জহরবাবুর ইস্তফার খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, ‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন। স্রোতের অনুকূলে তো কচুরিপানাও ভাসে, যদি উল্টো দিকে সাঁতার কাটতে নাই পারলেন তাহলে মানুষ জন্ম বৃথা! যুদ্ধের সময় যারা পালায় কিংবা গা বাঁচিয়ে চলে, ইতিহাস তাদের লজ্জার নজরে দেখে।’
প্রশ্ন উঠছে, এখানে আরেকজন বলতে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন দেবাংশু? তবে কি তিনি প্রতিবাদীদের আন্দোলনে সামিল হওয়া তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দিকে ইঙ্গিত করছেন?
আরও পড়ুন - 'আরজি করের নতুন মেশিনগুলো সব নিজের নার্সিংহোমে লাগিয়েছে'
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই বক্তব্য দেবাংশুর হতে পারে না। কারণ দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান কখনও রাজ্যসভার সাংসদকে ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না। তাঁদের দাবি, দেবাংশুর মাধ্যমে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিদ্রোহীদের উদ্দেশে এই বার্তা পৌঁছতে চেয়েছে।