ত্রিপুরার পুরভোটে পুরোপুরি গেরুয়া ঝড় উঠেছে। অন্তত আসনের নিরিখে বিজেপির সঙ্গে ছিটেফোঁটাও পাল্লা দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। সবেধন নীলমণি হিসেবে আমাবাসা পুর পরিষদে একটি আসনে ফুটেছে ঘাসফুল। তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘সান্ত্বনা পুরস্কার পেয়েছে।’
উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পুরভোটের ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পর রবিবার সুকান্ত বলেন, ‘সান্ত্বনা পুরস্কার পেয়েছে (তৃণমূল)। এত পরিশ্রম, এত টাকা, টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা। সান্ত্বনা পুরস্কার পেয়েছে - এটা ভালো বিষয়। ওদের উৎসাহ বাড়বে। ওদের তথাকথিত সর্বভারতীয় নেতারা আরও ত্রিপুরায় যাবেন। আরও চেষ্টা করবেন, কীভাবে এক থেকে ১০০ করা যায়। আমরা তাঁদের স্বাগত জানাই।’
সেই ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’-এর খোঁচার মধ্যে পালটা তৃণমূলের তোপ, ছেলেমানুষের মতো কথা বলছেন সুকান্ত। ত্রিপুরার পুরভোটে বিজেপি গণতন্ত্রের যে নমুনা দেখিয়েছে, তা যদি তৃণমূল করত, তাহলে কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডে শূন্য পেত বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল তা করবে না।
তারইমধ্যে আসনের নিরিখে গেরুয়া ঝড় উঠলেও প্রাথমিক যা পরিসংখ্যান, তাতে বিরোধীদের ভোট কাটাকুটির ফায়দা পেয়েছে বিজেপি। ভোট কাটাকুটির সুযোগে একাধিক আসনে শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি। তা নিয়ে বামেদের অভিযোগ, আদতে বিজেপির সুবিধা করে দিতেই ত্রিপুরার পুরভোটে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘দেখুন সিপিআইএম কী অভিযোগ করছে, জানি না। আমরা দেখেছি, সিপিআইএম-সহ বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য নো ভোট ফর বিজেপি বলে এরকম একটি অভিযান চালিয়েছিল। আজও কলকাতার বিভিন্ন ফ্লাইওভারের যে পিলার আছে, তাতে নো ভোট ফর বিজেপির পোস্টার দেখতে পাবেন। কাজেই সেই নো ভোট ফর বিজেপি প্রচার কাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য করা হয়েছিল, সেটা আগে সিপিআইএমে পরিষ্কার করুক। বামপন্থীরা পরিষ্কার করুক। তারপর না হয় ত্রিপুরা নিয়ে ভাবব।’