কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা গেলেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা মজিবুর ইসলাম মজুমদার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ছ'টায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।
এরপরে তাঁর মৃতদেহ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, মজিবুরের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। দোষীদের শাস্তি-সহ ১৫ দফা দাবিতে ত্রিপুরার রাজভবন অভিযান করে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ২০ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ত্রিপুরায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুষ্কৃতীরা মজিবুরকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। গত দেড় বছর ধরে ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হাওয়াই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে এ রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে ভরতি করা হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ভরতি থাকার পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মুজিবরকে মারধর করেছিল। পাশাপাশি, ত্রিপুরায় কোনওরকম আইন-শৃঙ্খলা নেই বলেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, মজিবুরের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন দাবিতে ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধে। একাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।