শোনাই যাচ্ছিল বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছে। উনি আসছেন। কিন্তু এভাবে যে আসবেন ভাবা যায়নি। মঙ্গলবার আদিগঙ্গার ঘাটে মাথা ন্যাড়া হয়ে যজ্ঞ করে 'প্রায়শ্চিত্ত' করলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। বুধবার মহালয়ার দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন আশিস। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই যোগদান তৃণমূল শিবিরকেই যে উজ্জীবিত করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চলতি মাসের প্রথম দিকে কলকাতায় এসে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেছিলেন আরএসএস ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি বিধায়ক। তিনি জানান, এতদিন ধরে দল করায় প্রায়শ্চিত্ত করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। পুরনো দলের প্রতি তিনি যে বীতশ্রদ্ধ তা তাঁর হাবেভাবেই ছিল স্পষ্ট। তিনি অবশ্য এদিনের কর্মকাণ্ডকে প্রায়শ্চিত্ত বলতে রাজি হননি। তবে যজ্ঞের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছেন, অপশক্তিকে দমনের জন্য ও ত্রিপুরা রাজ্যে রাজনৈতিক অরাজকতা কাটিয়ে শান্তির বার্তা দেওয়ার জন্যই তাঁর এই যজ্ঞ। কয়েক মাস আগে ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস আধিকারিকদের সম্মেলনে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মন্তব্য আদালত অবমাননার সমান বলে অভিযোগ করেছিলেন আশিস দাস।
এরইমধ্যে ত্রিপুরায় সংগঠনকে মজবুত করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি বিশেষ টিম তৈরি করেছে তৃণমূল। আশিস দাস ছাড়াও বিজেপি বিক্ষুব্ধ সুদীপ রায় বর্মনও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি একাংশ। বুধবার মহালয়ার দিন নতুন রাজনৈতিক জীবন শুরু করতে চলেছেন আশিস দাস। ইতিমধ্যে ত্রিপুরার মাটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।