রোগীর দেহে COVID 19 সংক্রমণ ধরা পড়ার পর আতঙ্ক ছড়াল ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে। অভিযোগ, আরও করোনা রোগীর সন্ধান মিলবে এই আশঙ্কায় পরীক্ষাই করাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উড়িয়ে হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ১৪ এপ্রিল সেখানে ভর্তি হন এক রোগী। তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এর পর তাঁর দেহে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে লালারস পরীক্ষায় পাঠানো হয়। রিপোর্ট এলে জানা যায় রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর পর ওই রোগীকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পরই আতঙ্ক ছড়ায় নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, ওই রোগী হাসপাতালে থাকাকালীন কোনও সুরক্ষাবিধি মানা হয়নি। যার ফলে নার্স ও রোগীদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য হাসপাতালের সমস্ত নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। সঙ্গে তাঁদের দাবি, পরীক্ষা করালে আরও নার্স ও রোগীর দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়বে বলে COVID 19 পরীক্ষাও করাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের সুপার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ১২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
তবে তাতে সমস্যার সমাধান হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কারণ, গত কয়েক সপ্তাহে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা রোগীর খোঁজ মেলার পর গোটা বিভাগ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যার ফলে NRS, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো বড় হাসপাতালের একাধিক বিভাগে তালা পড়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের যেতে হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। চিকিৎসকদের সংগঠনের অভিযোগ, রাজ্য সরকার করোনা পরীক্ষা করাতে না চাওয়াতেই ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে তাঁদের।