এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)-র নিরপক্ষেতা নিয়ে ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু হল। এ বার খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনে বক্তব্য নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে। রবিবার একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ইডি-কে বাধ্য হয়ে তদন্তে ঢুকতে হচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর সরব হয় তৃণমূল। পাল্টা খোঁচা দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, 'বিজেপির যেখানে রাজনৈতিক ভাবে ঘাটতি আছে, সেখানে তা পূরণে ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।' রবিবার এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দরাজ শংসাপত্র দিয়ে নির্মলা সীতারমন বলেন,'ইডি সম্পূর্ণ স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের মতো কোনও সংস্থা তদন্ত শুরু করলেই সেই তদন্তে ইডি ঢুকতে হচ্ছে। কারণ, প্রচুর টাকা, সোনাদানা উদ্ধার হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, ইডি অর্থমন্ত্রকের অধীনে আর্থিক দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থা। এর জবাবে কুণাল আরও বলেন,'বিজেপির কোনও নেতানেত্রী তাঁদের কোনও শাখা সংগঠনের প্রশংসা করবেই। ইডি একটা বিশ্বাসযোগ্য সংস্থা ছিল। ইডি-র অফিসাররা যথেষ্ট দক্ষ এবং যোগ্য। কিন্তু বিজেপি তাদের যে ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে তাতে সারা দেশে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।' তিনি আরও বলেন,' তার মানে এই নয় যে আমি অন্যায়কে সমর্থন করিছ বা আমার দল করছে। যদি কোথাও ভুল থাকে, অন্যায় থাকে তবে ইডি নিরপেক্ষ ভাবে ব্যবস্থা নিক।'
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচারের মতো মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে সক্রিয়। তারা আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর ইডির জালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা মানিক ভট্টাচার্য। শনিবারও এই দুর্নীতি মামলায় সল্টলেক, কৈখালি, বারাসত, রাজাবাজারা, কলেজ স্কোয়ার-সহ ৬টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি চালায় তারা। গরু পাচার মামলাতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেকেও হেফাজতে পেতে দিল্লির একটি আদালতে আবেদন করছে ইডি।