কলকাতা পুলিশের লোগো ব্যবহার করে হানিট্র্যাপ চলছিল। আর তা থেকে টাকা রোজগার করা হচ্ছিল। এই অভিনব পদ্ধতিতে টাকা হাতানোর কাজ চলছিল। আর এই জালিয়াতি চলছিল বিহার থেকে। কিন্তু তা স্থায়ী হল না বেশিদিন। এবার বিহারে হানা দিলেন লালবাজারের সাইবার থানার আধিকারিকরা। আর সেখান থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকের নাম উৎপল সিং এবং রীতেশ সিং। এই দু’জন কলকাতার বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে ভিডিয়ো–কল করে। সেই কল ধরামাত্র ফোনে ভেসে ওঠে মহিলার নগ্ন ভিডিয়ো। জালিয়াতরা সেটাই ‘ক্যাপচার’ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠায়। হোয়াটসঅ্যাপের ‘ডিপি’–তে লাগানো কলকাতা পুলিশের লোগো। তাতেই অনেকে ঘাবড়ে যান। তখন ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়।
কী বার্তা পাঠানো হয়? যে ব্যক্তিকে ভিডিয়ো কল করা হয় তাঁকে বলা হয়, মহিলার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে অশ্লীল আচরণের প্রমাণ রয়েছে। তাই গ্রেফতার করা হবে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হবে। আর তা থেকে বাঁচতে করেছেন কিছু টাকা খরচ করতে হবে। এভাবেই দিনের পর দিন কলকাতা পুলিশের লোগো ব্যবহার করে জালিয়াতি চলছিল। তাতে লক্ষাধিক টাকা রোজগার হয়।
কী করে প্রকাশ্যে এল ঘটনা? এই ধরণের অভিযোগ সরাসরি লালবাজারে জানান কয়েকজন ব্যক্তি। তখন লালবাজারের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যে ই–ওয়ালেটে টাকা গিয়েছে তার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আর তখনই বিহারে বসে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে যায়। দুই অভিযুক্তকে শনাক্ত করে বিহার যান গোয়েন্দারা। ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।