'সোফিয়া চক্রবর্তীর জমি সংক্রান্ত সমস্যা আছে, দেখে নিতে হবে' - অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন নম্বর ক্লোনিংয়ের ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হল। দিল্লি থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার একটি দল। তারপর কলকাতায় নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। আপাতত তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কী উদ্দেশ্যে অভিষেকের ফোন নম্বর ক্লোন করা হয়েছিল, আগেও অভিষেকের নম্বর ক্লোন করে কোনও প্রতারণা চালানো হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।
বিষয়টা ঠিক কী হয়েছিল?
লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা-পর্ব মিটে যাওয়ার পরে গত ৭ জুন রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যানের কাছে একটি ফোন আসে। যে ব্যক্তি ফোন করেন, তিনি নিজেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক হিসেবে দাবি করেন। ফোনের ওপার থেকে বলা হয় যে 'সোফিয়া চক্রবর্তীর জমি সংক্রান্ত সমস্যা আছে, দেখে নিতে হবে।'
যদিও তাতে সন্দেহ হয় রায়গঞ্জ ভাইস চেয়ারম্যানের। নিজেকে অভিষেক বলে দাবি করে যে ব্যক্তি ফোন করেন, তাঁর কণ্ঠস্বরও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মতো মনে হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে তিনি তড়িঘড়ি অভিষেকের আপ্ত সহায়ককে সেই বিষয়টি জানান। তারপরই অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিট অফিস কর্তৃপক্ষের তরফে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
'সোফিয়া'-র হদিশ পায় পুলিশ
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যে নম্বর থেকে রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে ফোন এসেছে, সেটার সঙ্গে দিল্লির যোগসূত্র আছে। সেইসূত্রে দিল্লি যায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। সেখানে গিয়ে 'সোফিয়া'-র হদিশ মেলে।
জানা যায় যে শুভজিৎ নামে একজনই আদতে সোফিয়া। অভিষেক নামে তার এক বন্ধু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত আছে। তাকে দিয়েই অভিষেকে ফোন নম্বর ক্লোন করানোর ছক কষে শুভজিৎ। তারপর রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে ফোন করা হয়। তবে অভিষেকের যে নম্বর ক্লোন করা হয়, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত নম্বর নয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।