বউবাজারের জাকারিয়া স্ট্রিটে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে গিয়েছে। তার জেরে রণক্ষেত্র বউবাজার! প্রকাশ্যে রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ উঠেছে নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এমনকী অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ স্বীকার করেনি। বরং এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে বলে অভিযোগ? স্থানীয় সূত্রে খবর, জাকারিয়া স্ট্রিট দিয়ে স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর মহম্মদ জসিমউদ্দিনের ভাই। আর তখন নীরজ নামে এক যুবক জসিমউদ্দিনের ভাইকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই উত্তেজনা দেখা দেয়। রাতারাতি দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয় বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন কাউন্সিলরের ভাই। তারপর দাদা জসিমউদ্দিনকে ফোন করে গোটা ঘটনা জানান।
তারপর কী ঘটল জাকারিয়া স্ট্রিটে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ঘটনার খবর পেয়ে অনুগামীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জসিমউদ্দিন। তারপরেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। মহম্মদ জসিমউদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের স্বামীর অনুগামীরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্দল কাউন্সিলরের স্বামী। এই পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের অনুগামীরাও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বউবাজার এলাকা।
এই ঘটনার পর সেখানে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে নির্দল কাউন্সিলর আয়েষার স্বামীর ইরফান আলি তাজের অভিযোগ, এলাকায় হামলা চালিয়েছে জসিমউদ্দিনের অনুগামীরাই। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।