শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুকে কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে সিপিএম। এবার দেখা গেল কলেজ সংক্রান্ত তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতার দুই নেতাকে সাসপেন্ড করল সিপিএম। আলিমুদ্দিনে রাজ্য কমিটির বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, টালিগঞ্জ ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেহালা পূর্বের পার্টি সদস্য তথা সাক্ষরতা আন্দোলনের নেতা পার্থ দাসকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করল সিপিএম। টালিগঞ্জের ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় বসে এই দুই নেতা আর্থিক অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে টালিগঞ্জে? সূত্রের খবর, গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সম্পাদক। আর পার্থ দাস একদা সম্পাদক ছিলেন। এই দুই নেতার বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ জমা পড়েছিল সিপিএম রাজ্য কমিটিতে। এই অভিযোগের তদন্ত করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য এবং রাজ্য কমিটির সদস্য মেঘলাল শেঠ। তাঁরা একটি রিপোর্ট পেশ করেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে। আর তারপরই গৌতম–পার্থকে ছ’মাস সাসপেন্ড করল সিপিএম।
রাজ্য কমিটিতে ঠিক কী উঠে এল? দলীয় সূত্রে খবর, তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট দেখে রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্য চিৎকার জুড়ে দেন। একাধিক সদস্য দাবি তোলেন, গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ দাসকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করতে হবে। এই দুই নেতাকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, নদিয়ার রমা বিশ্বাস, হাওড়ার কৃষকনেতা পরেশ পাল, উত্তর ২৪ পরগনার শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা। তবে অধিকাংশ সদস্যই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে সায় দেওয়ায় তাতে সিলমোহর পড়ে।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? শিক্ষা দুর্নীতিতে সিপিএমের দুই নেতার জড়িত থাকা নিয়ে মহম্মদ সেলিমকে বিঁধেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিজেপির বি–টিম হয়ে শূন্য হয়েছে। তাদের লোককে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে সাসপেন্ড করতে হচ্ছে। তাদের মুখে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা মানায় না।’ তবে কেন বহিষ্কার করা হল না? সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup