হাতে আর বাকি একদিন। তারপরই গোটা রাজ্য মেতে উঠবে দুর্গাপুজোয়। এই পরিস্থিতিতে সপ্তমী–অষ্টমী বন্ধ থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর। সপ্তমী অবশ্য রবিবার পড়েছে। রবিবার আউটডোর বন্ধই থাকে। আর দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে প্রত্যেক বছর আউটডোর বন্ধই থাকে। তবে ইমার্জেন্সি, ইনডোর–সহ অন্যান্য পরিষেবা চালু থাকবে। আর পুজোর বাকি দিনে সরকারি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি–ইনডোর–আউটডোর পরিষেবা চালু থাকবে। এখন রাজ্যের উপর বাড়তি চাপ ডেঙ্গি। তাই এবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি চিকিৎসক–অচিকিৎসক আধিকারিকরা আগাম অনুমতি ছাড়া পুজোতে কর্মস্থল ছেড়ে যেতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
বেসরকারি হাসপাতাল কী করছে? বেসরকারি হাসপাতালগুলি সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে সবসময় তাদের ইমার্জেন্সি চালু থাকবে। ইমার্জেন্সি নম্বর হল ১০৬৬। মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল বিবৃতিতে জানিয়েছে, ষষ্ঠী থেকে দশমী—এই পাঁচদিন তাদের প্ল্যানড ভর্তি এবং আউটডোর বন্ধ থাকবে। ইমার্জেন্সি, আপৎকালীন অপারেশন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার রোজ চালু থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য তাদের হেল্পলাইন নম্বর হল ১৮০০৩০৯০৩০৯। ইমার্জেন্সি/অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৯৯০৩৩৩৫৫৪৪ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
সরকারি হাসপাতাল কী পদক্ষেপ করছে? সরকারি হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ থাকলেও ইমার্জেন্সি পরিষেবা খোলাই থাকছে। সেখানে গিয়ে কেউ পৌঁছলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। দিনরাত খোলা থাকছে ইমার্জেন্সি পরিষেবা। এমনকী একাধিক চিকিৎসক রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে ডেঙ্গি নিয়ে কেউ গেলে তাঁর জন্যও সবরকম ব্যবস্থা চালু থাকছে। প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিষয়ে মেডিক্যাল ব্যাঙ্কের ডি আশিস জানান, পুজোয় রক্ত, অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৯৮৩১০৬২১৫৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে। যোধপুর পার্ক, ম্যাডক্স স্কোয়ার–সহ কিছু পুজোমণ্ডপে একটি বেসরকারি সংস্থা ইমার্জেন্সি কিয়স্কের ব্যবস্থা রেখেছে। হঠাৎ কেউ অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসা, নর্মাল হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা থাকছে সেখানে। তবে হাওড়ার পর এবার ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য প্রশাসন।