সোনাগাছিতে দুই ব্যক্তি গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের ডাকা হয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই তাঁদের কাছ থেকে সব ছিনতাই করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এভাবে নিষিদ্ধপল্লিতে ডেকে এনে নগদ টাকা ও গয়না লুট করলে ওই ব্যক্তিরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তৎক্ষণাৎ ১০০ নম্বর ডায়াল করে ওই ব্যক্তিরা অভিযোগ দায়ের করেন লালবাজারে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চার যৌনকর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছে সোনাগাছিতে? এখন শীতের পরশ পড়তেই রোজ ভিড় হচ্ছে সোনাগাছিতে। এখন কোভিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই সন্ধ্যেবেলায় এখানে বেড়েছে খদ্দেরদের আনাগোনা। এই পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধপল্লীতে গিয়ে এবার বিপদে পড়লেন দুই ব্যক্তি। ওই দুই ব্যক্তির অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যেবেলা ফোন করে তাঁদের ডাকা হয় সোনাগাছিতে। সেখানে পৌঁছলে প্রথমে চার যৌনকর্মী কাছে আসে। আর তাঁদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকা এবং সোনার গয়না লুট করা হয়।
যৌনকর্মীরা নম্বর পেল কেমন করে? সূত্রের খবর, এই দুই ব্যক্তির এখানে আনাগোনা আগে থেকেই ছিল। তবে বেশি যাতায়াত ছিল না। তাই রাস্তাঘাট, অলিগলি সেভাবে চেনেন না। এখানে আসার সুবাদেই পরিচয় হয়েছিল যৌনকর্মীদের সঙ্গে। তখন ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়। সেই সূত্রেই সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের ডেকে পাঠানো হয় সোনাগাছিতে। আর সেখানে গিয়ে সব খোয়াতে হয়। পরে তা পুলিশ উদ্ধার করে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ওই দুই ব্যক্তির অভিযোগ সূত্রে খবর, বিপদে পড়ে তখন ১০০ নম্বর ডায়াল করে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগ পেয়ে সোনাগাছিতে পৌঁছয় বড়তলা থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় দুই ব্যক্তিকে এবং অভিযুক্ত চার যৌনকর্মীকেও নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সেখানে বসিয়ে গোটা ঘটনা শোনেন পুলিশ অফিসার। আর ছিনতাই হওয়া টাকা–গয়না উদ্ধার করে। যদিও পুলিশ এই নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।