ঝাড়গ্রাম থেকে দিঘা। কম দূরত্ব তো নয়। তবে মন খারাপ ঠিক করতে সেই দিঘাতেই চলে গিয়েছিল দুই নাবালিকা। তবে পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে। শুক্রবারের ঘটনা।
ওই দুই নাবালিকা পরস্পরের বান্ধবী। তবে দুই বাড়ির লোকজনই ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ জানান যে তাদের মেয়েদের খোঁজ মিলছে না। সম্ভবত বকুনি খেয়ে তারা বাড়ি ছেড়়ে পালিয়েছে। এরপরই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি । তবে পুলিশ জানতে পারে ওদের কাছে মোবাইল আছে।
সেই মতো তাদের খোঁজ পাওয়াটা অনেক সোজা। এরপর তাদের মোবাইল ট্র্যাক করা হয়। প্রথমে বোঝা যায় তারা খড়্গপুরের কাছাকাছি রয়েছে। এরপর তাদের মোবাইলের অবস্থান বোঝা যায় দিঘাতে। সেই অনুসারে তাদের দুজনের গতিবিধির উপর নজর রাখতে থাকে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বোঝা যায় তারা দিঘাতে একই সঙ্গে রয়েছে। শুক্রবার দিঘা থেকেই ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরেই তাদের সন্ধান মেলে। ঝাড়গ্রাম থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশের টিম গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। শিশুকল্যান কমিটির মাধ্যমে তাদের সেফ হোমে রাখা হয়। মনে করা হচ্ছে বাড়িতে বকুনি খাওয়ার পরে একে অপরকে তারা অভিমানের কথা জানিয়েছিল। এরপর তারা দুই বন্ধুতে মিলে ঠিক করে আর বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে করছে না। এরপর তারা দিঘাতে পালিয়ে যায়। পরে টাওয়ার লোকেশন দেখে তাদের দিঘা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েও ধরা পড়ে গেল দুজনেই। তবে পুলিশ উদ্ধার করতে দেরি হলে বড় বিপদও হয়ে যেতে পারত।
এদিকে আম বাঙালির কাছে বেড়ানোর অন্যতম গন্তব্য হল দিঘা। সেই দিঘাতেই পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করেছিল তারা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে গেল দুজনেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে আবার বহু মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যেতে পারে নাবালক নাবালিকারা। নানা প্রলোভনে পড়ে যেতে পারে তারা।