রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় কলকাতায় দু'পক্ষের মধ্যে চলল গুলির লড়াই। এলোপাথাড়ি গুলিতে আহত হলেন দু'জন। সন্ধ্যার ঠিক আগে সেই ঘটনায় আনন্দপুরের গুলশন নগরের বাসিন্দাদের রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ইএম বাইপাস লাগোয়া গুলশন নগরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দিনের আবছা আলোর মধ্যে 'গ্যাও ওয়ার'-এর ধাঁচে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় আহত হয়েছে দু'জন। তাদের ন্যাশনাল মে়ডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। একজনের কানে গুলি লেগেছে। অপরজনের পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক।
সেই গুলির লড়াইয়ের পর একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদ থেকে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি চালাচ্ছে একজন। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’। তবে সন্ধ্যার ঠিক আগে বাইপাস লাগোয়া এলাকায় গুলির লড়াইয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের এক পুলিশকর্তা বলেছেন, ‘জমি সংক্রান্ত ব্যবসা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। দু'দলের সদস্যরা মুখোমুখি চলে আসেন এবং আচমকা একটি দল গুলি চালাতে শুরু করে।’
গুলির লড়াইয়ে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আহত এক ব্যক্তি শওকত আলি হাসপাতালে বলে, ‘আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। যারা গুলি চালিয়েছে, তারাও তৃণমূলের সমর্থক। ওরা জোর করে একটি ঘর দখল করে নিতে চাইছিল। বাধা দিতেই ছাদ থেকে গুলি চালানো হতে থাকে।’
সেই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রাজ্যের শাসন আছে। ওদের দায় নিতে হবে। আইন-শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতির একেবারে অবনতি হয়েছে। গুলির লড়াই চলছে। বাড়িতে বোমা তৈরি হচ্ছে।’ যদিও ঘটনায় তৃণমূলের যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এখন সব জিনিসেই রাজনৈতিক রং চড়ানো স্বভাব হয়ে গিয়েছে এবং যা কিছু হবে, তাতে তৃণমূলের নাম জড়ানো হচ্ছে। যখনই কিছু অবৈধ বা দুর্ভাগ্যজনক কিছু হয়, তখনই শাসক দলের দিকে আঙুল তোলা হয় এবং বদনাম করার চেষ্টা করা হয়। এটা ঠিক নয়।’