রাজ্যে এখন চালু হয়েছে নবম–দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস৷ বেশ কয়েকদিন ঠিকঠাক চললেও এবার হানা দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। স্কুল খুলতেই করোনা আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা৷ তাতে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ করোনা আক্রান্ত হলেন কলকাতার দুই নামী বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা৷ এমনকী ওই শিক্ষকদের করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল দুটি।
এবার কেন্দ্রীয় সরকার করোনা টিকার প্রথম ডোজ়ের পর এতদিন দ্বিতীয় ডোজ মিলত ২৮ দিনের ব্যবধানে। কিন্তু এবার সেই নিয়মে বদল আসতে চলেছে। কোভিশিল্ড করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ় এবার থেকে দেওয়া হবে ছয় থেকে আট সপ্তাহের ব্যবধানে। অক্সফোর্ডও তাদের ট্রায়ালে জানিয়ে দেয়, টিকা কার্যকরী হচ্ছে ১২ সপ্তাহের পর দ্বিতীয় ডোজ নিলে। সেই মতামতকেই এবার মান্যতা দিল ভারত সরকার। প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কোভিশিল্ড ছয় থেকে আট সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তারপরেই স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের বার্তা পাঠিয়ে টানা সাতদিন স্কুল বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ স্কুল খুলবে এবং স্কুল বন্ধ থাকাকালীন স্কুল বিল্ডিং জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হবে। শুক্রবার পর্যন্ত স্কুলে আসা ছাত্রছাত্রী, কর্মচারী ও শিক্ষককে করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের বুকে দুটি স্কুল টানা সাতদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মনে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হয়েছিল। স্কুল খোলার ১০ দিন অতিক্রান্ত হতেই জানা যায় কসবা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলে প্রথমে একজন ও পরে আরও দু’জন শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত। এবার দুটি নামী বেসরকারি স্কুলেও পড়ল করোনার ছায়া। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টিকাকরণ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে।