একেবারে টানা ধমক। একের পর এক ধমক। নেতা মন্ত্রীদের নাম করে টানা ধমক। এমনকী সেই ধমকের কথা শুনে কিছুটা হলেও খুশি বিজেপি নেতৃত্বও। কিন্তু এত ধমকের পরে ঠিক কী হল শেষ পর্যন্ত?
বৈঠকের পরেই বদলে ফেলা হল পুর সচিবকে। রাজ্য়ের নতুন পুর সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হল বিনোদ কুমারকে। ভূমি দফতরের নতুন সচিব হলেন বিবেক কুমার।
এদিকে সোমবারের এই বৈঠকে ডাকা হয়নি তাহেরপুর ও ঝালদা পুরসভাকে। মূলত তাহেরপুর সিপিএম পরিচালিত হওয়ার কারণে তাদের ডাকা হয়নি। অন্য়দিকে ঝালদা কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে চলে এসেছিল। তারপরেও কেন ডাক পেল না তারা?
তবে ধমক দিয়েই যে গোটা পর্বটা মিটে গেল এমনটা নয়। নবান্নের বৈঠকের পরেই দুই দফতরের সচিবকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে কি শেষ পর্যন্ত আমলাদের উপরেই কোপ পড়ল?
কিন্তু যে নেতা, মন্ত্রীদের নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? এই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
এদিন মুখ্য়মন্ত্রী ডিএম, এসপি, এসডিওদেরও নিশানা করেন। কোনও জায়গায় থাকলে তাঁরা কীভাবে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সটা বাড়িয়ে নেন সেই প্রসঙ্গও তোলেন। তবে এতসব কিছুর পরেও বাস্তবে কাজ কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
বিজেপির দাবি, আসলে এবার লোকসভা ভোটের নিরিখে শহরাঞ্চলে তৃণমূলের ফল ভালো হয়নি তারপর থেকেই পুর পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন নেত্রী। আর এদিন নবান্নে একেবারে কার্যত ফেটে পড়লেন।
সেই সঙ্গেই একেবারে নির্দিষ্ট জায়গার নাম উল্লেখ করে মমতা দাবি করেন কীভাবে সেখানে সরকারি জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, যাদবপুর থানার ১০ নম্বর বোরোর ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য়ে ৩৫৫ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লর্ড বেকারি মোড়ে জমি দখলের অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ২৯ কাঠা মূল্যবান জমি তথ্য় ও সংস্কৃতি দফতরের। ২০১৮ সালে তৎকালীন সাংসদ সৌগত রায় জমিটি দখলমুক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। এটা তদন্ত হবে। খুঁজে দেখো কে করেছে।
মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দেন রাজ্য়ের জমি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এদিকে এদিন মেয়র বলার চেষ্টা করেছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পাঁচিলের কথা। তখনই মমতা বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর পাঁচিল দিচ্ছে না কেন? তারা কি নিজেরা জানে না কোথায় নিজেদের কী জায়গা আছে? সবই কি আমি করব? একেবারে মোড়ের মাথায় জমি।