আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এর আগে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক বাম নেতাকে তলব করেছিল। এরই মাঝে গতকাল রাতে বেহালা থেকে নাকি দুই বাম নেতাকে তুলে লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, আটক নেতাদের নাম - সফিকুল এবং চিরঞ্জিত রায়। এর মধ্যে সফিকুল হলেন এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য। আর রিচঞ্জিত এসএফআই বেহালা পূর্বের একটি আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি। জানা গিয়েছে, গুন্ডাদমন শাখা আটক করেছে সফিকুলকে। সফিকুল আটক হয়েছে জানতে পেরেই লালবাজারে যান সিপিএম নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়, সফিকুলের বাবা এবং পরিবারের লোকজন। এদিকে জানা যায়, দমদমের এক তরুণ বাম নেতাকেও নাকি জেরা করেছে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। (আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা হোক সন্দীপ ঘোষ ও CP বিনীত গোয়েলকে, বিস্ফোরক দাবি খোদ তৃণমূল সাংসদের)
আরও পড়ুন: 'রূপান্তরকামীর বুক টেপা তো দূরের, কাউকে ছোঁয়নি পর্যন্ত RPF', দাবি মেট্রোর
গত ৯ অগস্টের রাতে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই আবহে গত ১৪ অগস্ট দেওয়া হয়েছিল 'রাত দখলের' ডাক। আর সেই রাতেই দুষ্কৃতীরা ঢুকে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছিল। অভিযোগ করা হচ্ছে, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাটের জন্যেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনায় বিরোধীরা আঙুল তুলছে তৃণমূলের দিকেই। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বারংবার দাবি করে চলেছে, বাম-রাম মিলেই নাকি এই হামলা চালিয়েছিল। এই আবহে কলকাতার পুলিশ কমিশনাল বিনীত গোয়লও সাংবাদিকদের ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করেন, সেই রাতে হামলাকারীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনের হাতে ছিল ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা।
এই সবের মাঝে হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়–সহ সাতজন বাম নেতানেত্রীকে তলব করে লালবাজার। এই বিষয়ে মীনাক্ষী অবশ্য বলেছেন, 'আমাদের পতাকা আমাদের অফিসে পাওয়ার একমাত্র ঠিকানা নয়। আমাদের পতাকা কলকাতার বড়বাজারে দোকানেও রয়েছে। আমরা যখন ওটা কাঁধে নিই, তখন দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাঁধে নিই।' পাশাপাশি তিনি জানান, তদন্তে সাহায্য করতে তিনি নিশ্চয় লালবাজারে যাবেন, তবে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে। এদিকে আরজি করে হামলার ঘটনায় বামেরা জড়িত নয় বলেই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, 'পুলিশ সিপিএমের কয়েকটা ছেলেকে ধরছে। মমতা বলেছে বলেই ধরছে। কিন্তু আমি জানি অতীনের ছেলেরা করেছে। তৃণমূল এরসঙ্গে জড়িত। বামেরা নয়।'