অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে হোর্ডিং টাঙিয়েছিলেন। লিখেছিলেন গেম চেঞ্জার দাদা। কিন্তু গোটা ঘটনাকে ভালোভাবে নেয়নি দল। এরপরই কোপ পড়ল দলের শিক্ষাসেলের দুই শীর্ষ নেতার উপর।
দলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল ও মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রীতম হালদারের উপর এই কোপ পড়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষাসেলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তবে দুজনের বিরুদ্ধেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগ। তবে বহিষ্কৃত নেতাদের দাবি তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে লিখেছিলেন। আর তারপরই তাদের উপর এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হল।
সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের বিপুল জয়ের পরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় মণিশঙ্কর লিখেছিলেন, গেম চেঞ্জার দাদা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা উল্লেখ করেই তিনি একথা লিখেছিলেন। এরপরই আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্য়েই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। তখন মণিশঙ্কর লিখেছিলেন, জহরের বার্তা নিতে হবে সতর্কতা, অভিষেকদাকে দরকার গড়তে বলিষ্ঠ সরকার।
এসব নজরে রাখছিল দল। এরপরই বহিষ্কার।
এনিয়ে মণিশঙ্কর এবিপি আনন্দে বলেছেন, গেম চেঞ্জার দাদা বলে লিখেছিলাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পক্ষে একথা লিখেছিলাম। এরপরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফোন করে আমায় যা তা বলেছিলেন। আমি অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানো ছেলে আমায় এভাবে ভয় দেখানো যাবে না।
তবে এতসব কিছুর পরেও থেমে নেই মণিশঙ্কর। এখনও তাঁর ফেসবুকের দেওয়াল জুড়ে শুধুই অভিষেক। তিনি লিখেছেন পছন্দ নয় ভন্ড ও ফেক, তাই নেতা বেছেছি অভিষেক। একের পর এক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সর্বত্র খালি অভিষেক আর অভিষেক।
তবে এবার বড়সর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল এই অভিষেক অনুরাগী দুই নেতার বিরুদ্ধে। বহিষ্কার করা হল দুই নেতাকে। এনিয়ে দলের অন্দরেও জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এই অতিরিক্ত অভিষেক আনুগত্য় বা তার জন্য অতিরিক্ত জয়গান গাওয়ার জেরেই কি কোপ পড়ল এই দুই নেতার বিরুদ্ধে?