এসএসকেএমে এক জুনিয়র চিকিৎসককে যৌন হেনস্থাকাণ্ডে দুই চিকিৎসককে বদলির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। এবার ওই কাণ্ড সামনে আসার পরই ওই দু'জনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর সহকর্মীরাই। শুধু দুর্ব্যবহারের অভিযোগই নয়, ওই চিকিৎসকের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, দু'বছর আগে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের স্বাস্থ্য কর্মীরা। ২০১৯ সালের ২৯ অগস্ট ডিরেক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমাও পড়ে। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন ওই চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, তাঁদের গুরুতর অভিযোগ ছিল তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েই। রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন তিনি। ওই চিকিৎসকের অদ্ভুত চিকিৎসা পদ্ধতির কারণেই অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতিও হয়েছিল বলে অভিযোগকারী স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিমত। তাঁর বিরুদ্ধে এই রকম ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ থাকলেও কোনও কিছুই পাত্তা দিতেন না তিনি। উল্টে ওই চিকিৎসক নিজের প্রভাব খাটানোর হুঁশিয়ারি দিতেন। দু'বছর আগে যে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, তার ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তাঁকে শুধুমাত্র একটি হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে শুধুমাত্র বদলি করা হল।
এদিকে যে অভিযোগকারী ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই মহিলা চিকিৎসকের দাবি, ওনাকে বের করে দেওয়া হোক। কেউ যাকে এমন ঘটনার মুখোমুখি না হয়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিথিত অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। ৬ মাস কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছিল।