বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন্ট ফ্যাকাল্টি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলা ও বিজ্ঞান শাখাকে নিয়ে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চার বছরের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। 'New Curriculum and credit Framework for Undergraduate Programme' এর আওতায় এই নয়া কোর্স পরিচালনা করা হবে।
প্রো-ভিসি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা চার বছরের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স স্ট্রাকচার গ্রহণ করছি। কিছু অদল বদল করে ক্রেডিট সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্ককে আমরা অনুসরণ করব।
তবে একজন সিনিয়র প্রফেসর জানিয়েছেন, এখনই আমাদের এন্ট্রি আর এক্সিট সিস্টেমটা থাকছে না। কারণ আমাদের সেই পরিকাঠামো নেই।
তবে শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই নয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও চার বছরের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একাধিক ডিপার্টমেন্টে এই ধরনের কোর্স চালুর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ বর্তমানে তিনবছরের বিএসসি বা বিএ কোর্স( স্নাতক) হয়। তবে যাদবপুরে নয়া শিক্ষানীতি অনুসারে এবার চার বছরের স্নাতক কোর্স পড়তে হবে। তবে প্রেসিডেন্সির কিছু ডিপার্টমেন্টে নয়া শিক্ষানীতি অনুসারে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালুর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ধাপে ধাপে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে পারে বলে খবর। এনিয়ে আলোচনা চলছে
এদিকে রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য ৬ সদস্যের কমিটি এর আগে গঠন করেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে এই কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছিল। এই রিপোর্টের উপরেই ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি কোর্স চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
এদিকে গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তৈরি কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক ফর আন্ডারগ্র্য়াজুয়েট প্রোগ্রামস শীর্ষক গাইডলাইনটি রাজ্যের শিক্ষা দফতর সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়েছিল। সেই গাইড লাইনে এই স্নাতক স্তরের সময় সীমা পরিবর্তন সহ একাধিক বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। এবার সেই জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার। এক্ষেত্রে কোনও পড়ুয়া যদি অনার্স ডিগ্রি পেতে চান তবে তাঁকে বর্তমানে যে তিন বছরের পড়াশোনা করতে হচ্ছে সেটার জায়গায় তাঁকে চার বছর সংশ্লিষ্ট শাখায় অনার্স নিয়ে পড়তে হবে। তবে তিনি অনার্স পাস করতে পারবেন।