প্রথমবর্ষের ছাত্র মৃত্যু ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, তারই মাঝে সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে ইউজিসির প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, বেলা ১১ টা নাগাদ ইউজিসির ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ইতিমধ্যেই, গাইডলাইন মানাকে কেন্দ্র করে ইউজিসিকে পর পর রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর সোমবার ক্যাম্পাসে আসে ওই প্রতিনিধিদল।
সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অল স্টেক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ছাত্র সংসগঠনগুলির তরফে সিসিটিভি বসানো নিয়ে কোনও আপত্তি আসেনি। তবে তাদের দাবি, কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসবে ক্যাম্পাসে, তা জানাতে হবে। এরপর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ইউজিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বৈঠক হতে পারে বলে। সেই বৈঠকে ইউজিসির তরফে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা খতিয়ে দেখতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং সংক্রান্ত নিয়ম কানুন। শোনা যাচ্ছে, এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্টও চাইতে পারেন ইউজিসির সদস্যরা। এই প্রতিনিধিদলের ক্যাম্পাসে পা রাখা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। উপাচার্য বলেছেন,'ইউজিসি আমাদের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে প্রতিনিধি দল, বিষয়টি তেমন নয়। এখানে হয়তো ওঁদের কারোর কারোর সঙ্গে দেখা করার আছে, কথা বলার আছে, তাই ওঁরা এসেছেন।' তিনি বলছেন, ‘ইউজিসি কী করতে এসেছে, তাঁরাই জানেন, আমাদের কিছু স্পষ্ট করে বলা হয়নি।’
এর আগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ব়্যাগিং নিয়েও। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি ইউজিসি নির্দেশিত ব়্যাগিং সংক্রান্ত গাইডলাইন মানেনি বিশ্ববিদ্যালয়ে? এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। তারপর তার জবাব দেয় কর্তৃপক্ষ। পাল্টা চিঠি আসে ইউজিসির তরফে। জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরে তারা সন্তুষ্ট নয়। এরপর যাদবপুরে ইউজিসির সদস্যদের আসার ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে এদিন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘আমি যেদিন যোগ দিয়েছিল তার ৩-৪ দিনের মধ্যে ওয়েবেলকে অর্ডার পাঠিয়েছি। আমাদের যে প্রাথমিকভাবে সিসিটিভি লাগাতে হবে, তা বাধ্যতামূলক। ’