চলতি মাসের শেষেই বিধানসভা নির্বাচনের দাঁড়ি পড়ছে। ২৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণপর্ব শেষ হচ্ছে রাজ্যে। ২ মে ভোট গণনা ও ফলপ্রকাশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই এ রাজ্যের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। তবে এই ভোট পর্ব মিটলে, আরও একটি ভোট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় যার এখন টালমাটাল অবস্থা। আদৌ এই পরিস্থিতির মধ্যে পুরভোট হবে কিনা, তা নিশ্চিত ভাবে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অবস্থার মধ্যে পুর ভোটের পথে এগোতে চাইছে না রাজ্য সরকার।
রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় প্রত্যেকদিনের কাজকর্ম চালাচ্ছে প্রশাসনিক বোর্ড। এর আগেই কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, পুর প্রশাসক বোর্ডে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা যাবে না। কমিশনের নির্দেশ মেনে তারপরই সমস্ত পুর বোর্ডের মধ্যে থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে পুনরায় প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরই পুরভোট করানোর পরিকল্পনা ছিল রাজ্য সরকারের। তবে রাজ্যে এখন যেভাবে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তাতে পুর নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে চলে গিয়েছে।
সেই সমস্ত পুর বোর্ডগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায়, সেখানে প্রশাসক মন্ডলী বসিয়েছিল রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হয়নি বিরোধী দলগুলো। তাঁদের যুক্তি ছিল, ভোট না করানোর জন্যই এই প্রশাসনিক বোর্ড বসিয়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল। দ্রুত ভোট করানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছিলেন বিরোধীরা।