সরকারি হাসাপাতালের বন্ধ ঘরে জঞ্জালের স্তূপ থেকে উদ্ধার হল দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন পা। ঘটনার কোনও রকম ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ফর্ম্যালিনে চুবিয়ে রাখা কাটা পা-টি মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের একটি বন্ধ ঘরের ভিতরে থাকা জঞ্জাল স্তূপের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে।
দেহ থেকে বাদ যাওয়া পায়ের পরিচয় জানতে হাসপাতালের গত কয়েক দিনের নথি খতিয়ে দেখা হলেও রহস্যের মীমাংসা হয়নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক। নিয়ম অনুযায়ী, অস্ত্রোপচার করে কোনও রোগীর দেহাংশ বাদ দেওয়া হলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের একটি সংশাপত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও নথি মেলেনি।
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে শেষ পা কাটা হয়েছিল এক রোগিনীর। তিন মাস আগের সেই ঘটনার পরে কোনও রোগীর শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা এই হাসপাতালে ঘটেনি। উপরন্তু, উদ্ধার হওয়া পা-টি কোনও পুরুষের, জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
এ দিন কাটা পায়ের পরিচয় জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানানো হয়েছে বৌবাজার থানাতেও।
হাসপাতালের এক বর্ষীয়ান চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘পা-টি ফর্ম্যালিনে চুবিয়ে রাখার অর্থ, সেটি কেউ সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে যে ‘গ্রিন বিল্ডিং’-এর কোনা থেকে পা-টি উদ্ধার হয়েছে, সেখানে গত কয়েক দিন ধরে মেরামতির কাজ চলছে। এই কারণে ঘটনাস্থলে কোনও চিকিৎসক ইদানীং কালে যাননি।
হাসপাতালের সেই অগম্য স্থানে কে রেখে গেল কেটে রাখা মানুষের পা? এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে।