ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় সমস্ত বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে অভিন্ন কমন সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার। এই যৌথ কমন সেন্টার ২৪ মে থেকে লালবাজারে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে পুরসভা, সিইএসসি, দমকল, এনডিআরএফ, পূর্ত, নগরোন্নয়ন, সিভিল ডিফেন্স, টেলিযোগাযোগ ও সেনা প্রত্যেক দফতর থেকে প্রতিনিধিরা এসে এই কন্ট্রোলরুমে বসবেন। সেখানে বসেই ঝড়ের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখবেন তাঁরা। শহরে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময়, যাতে যে কোনও সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেকারণে এই কমন সেন্টার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।
রবিবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় লালবাজারে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকে কলকাতা পুলিশ। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন সকাল সাড়ে দশটার সময় লালবাজারে নগরপালের নেতৃত্বে এই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য, সিইএসসি’র প্রাক্তন ডিরেক্টর গৌতম রায়, আরএনভিএলের মুখ্য প্রকল্প ম্যানেজার হরসিমন সিং, সিভিল ডিফেন্সের ডিজি জগমোহন, বেঙ্গল সাব এরিয়ার কর্নেল পীয়ুস দে, এনডিআরএফের কমান্ডিং অফিসার গুরমিন্দর সিং,
দমকলের ডিরেক্টর অভিজিৎ পান্ডে (ভার্চুয়ালে যোগ দেন), পুর্ত দফতরের( প্রসিডেন্সি সার্কেলের) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার অপূর্ব ভৌমিক, উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল) দেবাশিস রায় এছাড়াও কলকাতা পুলিশ, পুরসভা, সিইএসসির উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সমস্ত বিভাগের একটি যৌথ অভিন্ন কেন্দ্র লালবাজারে বসানো হবে। ২৪ মে থেকে প্রত্যেকটি নডেল এজেন্সির প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও ঘুর্ণিঝড় ইয়াস কলকাতায় ধাক্কা মারার সময় সাধারণ জনগণ উদ্ধার করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এই কমন সেন্টারে বসেই নেবেন আধিকারিকরা।