কোভিড সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য। প্রতিদিন পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি, করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার হারও উল্লেখজনক কম এই রাজ্যগুলিতে।
কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের দাবি, গত দুই সপ্তাহ যাবৎ বাংলায় রোজ গড়ে ১,৬০০ নতুন কোভিড রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর গত ৫ দিনে সারাদেশের প্রায় ৯০% অ্যাক্টিভ রোগীর সন্ধান মিলেছে এই রাজ্য থেকেই। মৃতের হার কম থাকার পাশাপাশি রাজ্যে করোনা পরীক্ষার হার কম থাকা নিয়েও চিন্তিত প্রশাসন।
একই সময়কালে বিহারে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ জন করোনা রোগীর খোঁজ মিলছে, তার মধ্যে শুধু গত সপ্তাহেই মোট অ্যাক্টিভ রোগীর ৮০% খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পটনা, নালন্দা, ভাগলপুর, বেগুসরাই, মুঙ্গের ও গয়া জেলায় রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
অসমে গত ১৪ দিনেই মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর ৮০ শতাংশের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
করোনা প্রকোপে এগিয়ে রয়েছে ওডিশাও। গত চার সপ্তাহে গড়ে ৫০০ জন নতুন রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছে এই উপকূলবর্তী রাজ্যে। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নিজের বিধানসভা কেন্দ্র গঞ্জাম জেলার হিঞ্জিলিতে রাজ্যের মোট করোনা রোগীর ৩৭% খোঁজ মিলেছে।
করোনা প্রকোপের নিরিখে আগুয়ান এই চার রাজ্য সরকারকে কন্টেনমেন্ট ও নজরদারি ব্যবস্থায় আরও সক্রিয় কৌশল নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘রোগীর সংখ্যায় উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে সংক্রমণের উৎস খুঁজতে বলা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। যদি দেখা যায়, কন্টেনমেন্ট অঞ্চেই বেশি নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তা হলে বুঝতে হবে যে, রাজ্যের কন্টেনমেন্ট নীতিতে গলদ রয়েছে।’