একে তো বাংলায় অ্য়াডিনোভাইরাসের দাপট। তার মধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা ও প্রচন্ড শ্বাসকষ্টের সমস্য়া তৈরি হচ্ছে। এনিয়ে এবার নয়া উদ্বেগ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এনিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য় সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিলেন। এই ধরনের রোগীর উপর অত্যন্ত নজর রাখার ব্যাপারে চিঠিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি নীতি আয়োগের সদস্য( স্বাস্থ্য) উপস্থিতিতে একটি রিভিউ মিটিং হয়েছিল। তারপরেই এনিয়ে চিঠি পাঠানো হল। উল্লেখ করা হয়েছে, ঋতূ পরিবর্তনের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা একটা সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এবার ঋতূ পরিবর্তনের সময় কিছুটা অন্যরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে অনেকেই উদাসীন। কোনও সুরক্ষা ছাড়াই হাঁচি, কাশি দিচ্ছেন অনেকেই। এর জেরে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ( H1N1, H3N2), অ্যাডিনোভাইরাস ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে।
কোভিডের প্রকোপ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে কিছু রাজ্য়ে নতুন করে কোভিডের পজিটিভিটি রেটের প্রতি বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। এদিকে রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, নতুন করে এই ধরনের আক্রান্তের ঘটনা কমেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্য়াও কমেছে। কোভিডের ভ্য়াকসিনও পর্যাপ্ত দেওয়া হয়েছে। তবে পাঁচ দফা যে সতর্কতার কথা আগে বলা হত সেটা মেনে চলতেই হবে। কোভিড প্রতিরোধক বিধিগুলি মেনে চলার ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য অসুস্থতা হচ্ছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে আবার জ্বর ও কাশির প্রবণতা বাড়ছে বয়স্কদের মধ্য়ে। যাদের ওবেসিটি রয়েছে, ডায়াবেটিস, লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যা রয়েছে, গর্ভবতীদের সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন ২০২৩ এর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত একাধিক ল্যাবে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে ২৫.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে অ্য়াডিনোভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কমিউনিটির মধ্য়ে সতর্কতা মেনে চলা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত দরকার। হাঁচি, কাশির সময় টিসু অথবা কনুইয়ের ব্য়বহার করা দরকার। যাতে এই সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। লক্ষণ দেখা দিলেই তা দ্রুত জানাতে হবে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে তারা বেশি কারোর সঙ্গে সংস্পর্শে না আসাই ভালো।
সমস্ত রাজ্যকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোভিড ১৯ প্রতিরোধের সময় যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হত সেটা মেনে চলা দরকার। হাসপাতালগুলি তৈরি রয়েছে কি না সেটাও দেখার দরকার।