বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ , ধারাল অস্ত্রে এলোপাথাড়ি কোপালেন মা!

ছেলেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় হেঁটে বেড়ালেন মা! ঘটনাটি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান পাড়া-প্রতিবেশীদের থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিকরাও। ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই কান্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।

মঙ্গলবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণিতে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। জেরায় অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছে, ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই, তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মায়ের নাম কাবেরি দাস ও আহত ছেলের নাম শুভজিত দাস। অভিযুক্তই মহিলার স্বামী পোর্ট ট্রাস্টে চাকরি করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর পেনশনের টাকায় সংসার চলছিল দাস পরিবারের। কাবেরি তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন। তার দুই ছেলে রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ছোট ছেলে মানসিকভাবে সুস্থ নন। বড় ছেলে চাকরি করেন। অভিযোগ উঠেছে বড় ছেলে মা ও ছোট ভাইয়ের উপর অত্যাচার চালাতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় দাস পরিবার কারও সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতেন না। নানা কারণে শুভজিতের সঙ্গে তার মায়ের গন্ডগোল লেগেই থাকত। ঘটনার রাতেও তাদের বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি আওয়াজ শুনতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তবে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ভেবে তখনকার মতো কেউ আমল দেননি। কিন্তু এর পরেই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যায়। ছেলেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠে মায়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কাবির দেবী। ছেলের শরীর তো বটেই মায়ের সারা দেহে রক্তের ছড়াছড়ি অবস্থা। এ ঘটনা দেখে শিউরে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। থানা খবর দেওয়া হলে তড়িঘড়ি ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভজিৎ সুস্থ হলে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

 

বন্ধ করুন