ভোটের ফলের পর অটো মিছিল হয়েছিল উল্টোডাঙার আবাসনে। সেই অটো মিছিলের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় কাউন্সিলরকে সেই আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মমতার 'বকুনি' শুনেই উল্টোডাঙার সেই আবাসনে গিয়ে হাজির হলেন কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানে গিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল নেতারা। আগামীদিনে এ ঘটনার কোনও পুরনাবৃত্তি হবে না বলেও আশ্বাস দেন শান্তিরঞ্জন, কুণালরা। (আরও পড়ুন: দিতে হবে ২৮ লাখ, সঙ্গে ৯ বছরের জন্য ৮% সুদ, বড় রায় বাংলার সরকারি কর্মীর পক্ষে)
আরও পড়ুন: কী ঘটেছিল ১৬ মে? ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্করের বিরুদ্ধে কেন উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ
আরও পড়ুন: ১৮ শতাংশ ডিএ-র 'ভাঁওতা' ধরলেন অবসরপ্রাপ্ত তৃণমূলী সরকারি কর্মী, করলেন বড় দাবি
আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে কুণাল বলেন, 'এখানকার বাসিন্দারা বলছেন আমরা কোনও অভিযোগ করছি না। আমরা পুরপিতাকেও কাজের সময় হাতের কাছে পাই। আমরা শুনে খুব আনন্দিত হয়েছি। তারপরেও এত বড় আবাসনে কোনও ঘটনায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে বলব এ ধরনের কোন কাজ দল অনুমোদন করেনি। অনেক ক্ষেত্রে মিছিলে অতি উৎসাহে কোনও কর্মী কিছু করে ফেলতে পারে। সেটা অনিচ্ছাকৃত।' (আরও পড়ুন: ডিএ বাড়িয়ে 'পুরস্কার', তাও সরকারি কর্মীদের ওপর বিশ্বাস নেই মমতার, কী করল নবান্ন)
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি কর্মীদের পকেটে ঢুকবে বেশি বেতন, লাভ ৮০০০ পর্যন্ত একনজরে হিসেব
আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখায় ১২ কামরার লোকাল চালাতে কাজ জারি, দমদমে শেষের পথে 'তৃতীয় ধাপ'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মানিকতলার প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনা করতে নবান্নে একটি বৈঠক করেছিলেন মমতা। সেখানেই উল্টোডাঙার আবাসনে অটো মিছিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত উল্টোডাঙার এলাকার কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুকে রীতিমতো তিরস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘কেন এই ঘটনা ঘটলো, কে সাহস দিয়েছে ওই অটোগুলিকে ওই আবাসনে ঢোকার? আমাদেরকে যে ভোট দেবে না তাঁদের পাশে গিয়ে বোঝাতে হবে, এভাবে তাণ্ডব চালালে সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে থাকবে?’ এরপর নাকি মুখ্যমন্ত্রী সেই কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেন, ওই আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এবং প্রয়োজনে ক্ষমা চাইতে হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বোঝানোর চেষ্টা করলেও মমতা তাঁকে বলেন, ‘কী ঘটনা ঘটেছিল আমি সব জানি। আমাকে যা খুশি বোঝানো হবে আমি সেটা বুঝব এটা যেন না ভেবে নেওয়া হয়।’ (আরও পড়ুন: ২৪-এ আসন কম কেন বিজেপির? সংগঠনের ওপর দায় চাপিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী)
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যাবেন? টিকিট কাটার ক্ষেত্রে মিলবে বড় সুবিধা, ঘোষণা রেলের
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, আবাসনের মধ্যে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য অটো। আছে অনেক বাইকও। বাজানো হচ্ছে হর্ন। তারস্বরে বাজছে গান। অবশ্য ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে অভিযোগ ওঠে যে উত্তর কলকাতার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ওই আবাসনের বাসিন্দারা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেননি বলেই শাসক দলের নেতারা সেই কাজ করেছেন।