মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলির ঘটনায় অস্বস্তি ঝাড়তে বণিকসভা CII-এর ওপর দায় চাপালেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সোমবার নবান্নে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, CII-এর এজেন্টের ভুলেই হুগলিতে ১০৭ জনের কাছে ভুয়ো নিয়োগপত্র পৌঁছেছে। এরকম ঘটনা আর ঘটে থাকলে CII বা রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
এদিন মুখ্যসচিব বলেন, ‘রাজ্য সরকার চাকরি দিচ্ছে না। সরকার শুধু একটা মঞ্চ তৈরি করেছে যার মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাগুলো কর্মী নিয়োগকরছে। আমরা এমন কিছু করি না, যাতে আমাদের ছেলে–মেয়েদের ভবিষ্যতে সমস্যা হয়।’
এর পর তিনি বলেন, ‘হুগলিতে একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ১০৭ জনকে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর CII ওদের এক এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। আমরা ওই চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যত নষ্ট হতে দেব না’।
একই বিষয়ে কীভাবে দুই সংস্থা তদন্ত করছে? জিতেন্দ্রর মামলায় প্রশ্ন হাইকোর্টের
এর পর CII-এর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘তারাও কিন্তু এটা চায়নি। যদি আর কারও ক্ষেত্রে এমন কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে সরাসরি আমাদের সঙ্গে বা CII–এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঠিক করেছি এবার থেকে নিয়োগপত্র ডবল চেকিং করা হবে।
‘উৎকর্ষ বাংলা’ নামে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে ১১ হাজার চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে জানা যায় সেগুলি বেসরকারি সংস্থার নিয়োগপত্র। এর মধ্যে হুগলি থেকে ওঠে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ১০৭ জন চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন তাদের হাতে যে নিয়োগপত্র এসেছে সেখানে ফোন করলে জানানো হয়েছে নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এর পর মুখ পোড়ে রাজ্য সরকারের। ১৪ দিন পর এই নিয়ে মুখ খুলল সরকার। তাদের দাবি, ভুলের জন্য দায়ী CII এর এজেন্ট।